ঢাকা: জেলার হুজুরবাড়ি এলাকায় দারুল নাজাত মহিলা মাদরাসায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণে সাত শিক্ষার্থীসহ আটজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবাইকে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে মাদরাসার চারতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে দগ্ধদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় আনা হয়।
দগ্ধরা হলেন— সাদিয়া আক্তার (১২), রুবাইয়া (৯), আয়মান (৬), নুসরাত (১০), তুইবা (৬), রওজা (১৩), আফরিন (১৩) ও কেয়ারটেকার আলিয়া আক্তার (৩০)।
দগ্ধ আলিয়ার স্বামী তোফাজ্জল হোসেন জানান, ‘দারুল নাজাত মহিলা মাদরাসার পাশে হঠাৎ ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় চতুর্থ তলায় ক্লাস চলছিল। আগুনের ফুলকি মাদরাসার ভেতরে ঢুকে পড়লে শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হয়। আমার স্ত্রীর হাতেও বিদ্যুতের তার পরে দগ্ধ হয়।’
তিনি জানান, আহতদের প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাদের ঢাকার বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান সারাবাংলাকে জানান, দগ্ধদের মধ্যে সাদিয়ার ১৩ শতাংশ, রুবাইয়ার ৫ শতাংশ, আয়মানের ২ শতাংশ, নুসরাতের ৩ শতাংশ, তুইবার ৩ শতাংশ, রওজার ৩ শতাংশ, আলিয়ার ১৪ শতাংশ ও আফরিনের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আলিয়ার ডান হাতে বিদ্যুতের তার পরে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাতেই অস্ত্রোপচার করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়, তবে সফল হয়নি। তার হাতের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাকিরা আশঙ্কামুক্ত, পর্যায়ক্রমে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।’