ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে সুরভী আক্তার মাহফুজা (২১) নামে এক গৃহবধুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী আশিক মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে মালিবাগ বকশিবাগ এলাকার ওই বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহসিন তালুকদার সুরতহাল প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে মালিবাগ বকশিবাগ এলাকার ৪৩৯/এ নম্বর বাড়ির নিচ তলা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে, মুখ বন্ধ অবস্থায় ছিল।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মরদেহের থুতনিতে, গলায়, বুক ও পিঠে লালচে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে কাটা দাগ দেখা গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রোববার দিবাগত রাত ১টা থেকে সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী আশিক মোল্লা তাকে হত্যা করে থাকতে পারেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহতের বড় ভাই হৃদয় খান জানান, তাদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর গ্রামে। বাবার নাম নুরুল হক খান। ছয় বছর আগে সুরভীর বিয়ে হয় আশিক মোল্লার সঙ্গে। আশিক মোল্লা ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি টেইলার্সে কাজ করত, সেখানে সুরভীও কাজ করতেন। তাদের একটি ছেলে সন্তান আছে, নাম মেহেদি হাসান, বয়স চার বছর।
হৃদয় খান আরও জানান, দুই বছর আগে আশিক স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করেছিলেন। তখন আশিক সংসার করতে রাজি নন বললেও পরবর্তীতে সুরভী আবার সংসার করতে রাজি হন। এরপর থেকে তার বাবা-মা ও ভাইবোনদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়। সোমবার দুপুরে পুলিশের মাধ্যমে পরিবারটি খবর পান এবং মালিবাগের বাসায় গিয়ে সুরভীর বস্তাবন্দী মরদেহ দেখেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে আশিক মালিবাগের ওই বাসায় ভাড়া ওঠে। সেই রাতে তারা একমাত্র ছেলেকে দাদা দাদীর কাছে পাঠান। এরপর আশিক সুরভীকে হত্যা করে বস্তাবন্দী করেন এবং পালিয়ে যান। পরিবারটি এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।