Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশু গহীনকে ফেলে যাওয়া দুই নারীকে শনাক্ত করা যায়নি


১৯ মে ২০১৯ ০৮:০৬

ঢাকা: ঢাকা শিশু হাসপাতালের বাথরুমে নবজাতক ‘গহীন’কে ফেলে রেখে যাওয়া দুই নারীকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। ভিডিও ফুটেজে পাওয়া ছবি স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের শনাক্ত করতে বেগত পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ অনুযায়ী দুই নারী হাসপাতালের টয়লেটে নবজাতকটিকে রেখে যান। ছবি স্পষ্ট নয় বলে আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারিনি। তবে তদন্ত চলছে।’

বিজ্ঞাপন

ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, গত ১৪ মে, মঙ্গলবার। সকাল ১১টা ৫৪ মিনিট। ঢাকা শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে একটি সিএনজি অটোরিকশা থামে। একজন বোরখা ও অপরজন সালোয়ার কামিজ পরিহিত দুই নারী সিএনজি থেকে নামেন। বোরখা পরিহিত নারী দুই হাত দিয়ে একটি নবজাতক বুকে আগলে রেখেছেন। নবজাতকটিকে এমনভাবে ঢেকে রেখেছেন যেন বাইরে থেকে কারও নজরে না পড়ে। এরপরও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে নবজাতকটিকে আনার এই দৃশ্য ধরা পড়েছে।

সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, নবজাতকটির শরীর তুলার চাদর দিয়ে ঢাকা। নারীরা সিএনজি অটোরিকশা থেকে নেমে দ্রত জরুরি বিভাগে প্রবেশ করেন। পাশে ব্রেস্ট ফিডিং জোন এবং এর পাশেই টয়লেট। তারা টয়লেটে প্রবেশ করেন। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তারা টয়লেট থেকে দ্রুত বের হয়ে যান। এ সময় বোরখা পরিহিত মহিলার দুই হাত বাইরে দেখা যায়। কিন্তু আগের নবজাতকটিকে দেখা যায়নি। তারা বের হয়ে একই অটোরিকশায় চড়ে চলে যান। এর দুই বা তিন মিনিট পর একজন নারী টয়লেটে গিয়ে দেখেন মেঝেতে ফুটফুটে এক কন্যা নবজাতক পড়ে আছে। তিনি বের হয়ে চিৎকার করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতকটিকে উদ্ধার করেন। চিকিৎসার পর গত বৃহস্পতিবার নবজাতকটিকে আজিমপুরে সমাজ সেবা অধিদফতরের ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৮ মে) ঢাকা শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. ফরিদ আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় আমরা থানায় জিডি করেছি। ভিডিও ফুটেজটি আমরা পুলিশের কাছে দিয়েছি।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুন্সী বলেন, ‘নবজাতকটিকে উদ্ধার করার সময় তার শরীরে তুলার কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে নবজাতকটি ঢাকার কোনো অভিজাত হাসপাতালে ভূমিষ্ট হয়েছে। কারণ একটু কম অভিজাত হাসপাতালে শিশু ভূমিষ্টের পর তার শরীর সাধারণত তোয়ালে বা কাঁথা দিয়ে জড়িয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। আর সালোয়ার কামিজ পরিহিত নারীর বেশভূষাও অভিজাত মনে হয়েছে।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

আরও পড়ুন

আজিমপুরের ছোটমনি নিবাসে যাচ্ছে শিশু ‘গহীন’
‘গহীন’ কি সোনার মোহর?

 

 

শিশু গহীন শিশু হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে আগুনে পুড়ল ৫ দোকান
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৪

আরো

সম্পর্কিত খবর