নির্ধারিত সময় নেই, যাত্রী ভরলেই ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চ
৯ আগস্ট ২০১৯ ১৯:৪৫
ঢাকা: ঈদের বাকি মাত্র তিনদিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ কাটাতে দক্ষিণাঞ্চলগামী ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে সদরঘাটে। নদীপথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এখানে দুপুরের পর থেকেই বাড়ছে যাত্রীদের চাপ। প্রচণ্ড চাপ সামলাতেই লঞ্চগুলোতে যাত্রী ভরলেই ছেড়ে যাচ্ছে নির্ধারিত সময়ের আগে।
ঈদের ছুটির আগে সাপ্তাহিক বন্ধ হওয়ায় শুক্রবার যাত্রীদের চাপ বেড়েছে গতকালের চেয়ে বেশি। রাজধানীর অধিকাংশ গার্মেন্টসকর্মীরা সপ্তাহিক ছুটিতেই গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। এতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে বাড়তি চাপ সামলাতে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পূর্ণ যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছুটে যাচ্ছে লঞ্চগুলো।
মিরপুরের একটি গার্মেন্টসের কর্মী রকি যাবেন বরিশালের বাকেরগঞ্জে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজকেও অফিস ছিল। তবুও আধাবেলা ডিউটি করে ছুটে এলাম সদরঘাট। বিকেল ৫টায় লঞ্চ ছাড়বে তাই। কিন্তু এসে দেখি লঞ্চ ছেড়ে দিছে তিনটার সময়। এখন আরেকটা লঞ্চ সুরভীতে বসে আছি। যাত্রী ভরলেই ছেড়ে যাবে।’
ভোলাগামী অপর একযাত্রী রিমন সাাবাংলাকে বলেন, ‘মানুষের ঠেলাঠেলিতে লঞ্চের সামনে আসতে ১ ঘণ্টার মতো লেগেছে। এমভি তাসরিফ-১ এ যাওয়ার কথা ছিল। তবে ওঠার আগেই ছেড়ে চলে গেছে। মানুষের ঠেলাঠেলি উঠতে পারিনি। আরেকটা লঞ্চ ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আসবে। সেটিতে যাব।’
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিদর্শক (ট্রাফিক) হুমায়ুন কবির সারাবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ ছিল। তবে দুপুরের পর থেকে চাপ বাড়তে শুরু করেছে। তাই বাড়তি চাপ সামলাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিতে লঞ্চ মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী যেন উঠতে না পারে সে জন্য মনিটরিং টিম জোরদার করা হয়েছে।’ অপেক্ষমাণ যাত্রীরা যেন নিরাপদে থাকতে পারে সে জন্য বিআইডব্লিউটিএর ভবনের নিচে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান তিনি।