Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পুরো বস্তি পুড়িয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে


২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৫

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর কালশী এলাকায় বাউনিয়াবাদ বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। বস্তিবাসির দাবি, ফায়ার সার্ভিস দেরিতে আসায় এবং পানি স্বল্পতার কারণে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি এবং সব পুড়ে ছাই হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মিরপুর স্টেশনের গাড়ি পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টা ৫০ মিনিটে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে রাত সোয়া ২টার সময় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দীন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

বস্তিবাসীদের অভিযোগ, আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে প্রায় একঘণ্টা দেরিতে হয়েছে। শুধু তাই না, ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর মতো পানির স্বল্পতা ছিল। এ কারণেই বস্তি পুড়ে ছাই হয়েছে।

তবে ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ১২টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় কন্ট্রোল রুম। এরপর মিরপুরের ফায়ার স্টেশন থেকে চারটি ইউনিট রাত ১টা ৪ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। আগুনের তীব্রতা দেখে আরও ইউনিটের সাহায্য চাওয়া হয়। এরপর উত্তরা, কুর্মিটোলাসহ আশেপাশের ১১টি ইউনিট এসে যোগ দেয়। সবার অক্লান্ত চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত সোয়া ২টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সালেহ উদ্দীন বলেন, ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ থাকে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এই বস্তিতে প্লাস্টিক ভাঙারির গোডাউন ছিল। সেখান থেকেও আগুন লাগতে পারে। তবে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে জানা যাবে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ কী ছিল। ক্ষয়ক্ষতিও তদন্তসাপেক্ষে জানা যাবে। এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আগুন লাগার খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দেরিতে এসেছে— এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ফায়ার সার্ভিসের এই সহকারী পরিচালক বলেন, ফায়ার সার্ভিস দেরিতে এসেছে— এটি সম্পূর্ণ অমূলক ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। এমন অভিযোগ যারা করেন তারাই সমস্যার কারণ। আগুন লাগলেই তারা ক্রাউড তৈরি করেন। আর এর কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় আমাদের। মূলত বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পুরো বস্তি পুড়ে যায় বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাউনিয়াবাদের পুড়ে যাওয়া এই বস্তিতে তিন শতাধিক ঘর ছিল। যার সবগুলোই পুড়ে গেছে। বস্তিবাসী তাদের কোনো কিছু নিয়ে বের হতে পারেনি।  বস্তিবাসী এখন খোলা আকাশের নীচে অবস্থান করছেন।

এদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, সহায়-সম্বলহীন মানুষগুলোর পাশে সাধ্যমতো থাকবেন। প্রাথমিকভাবে বস্তিবাসীরা পাশের আনন্দ নিকেতন স্কুলে আশ্রয় নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্লাস্টিকের ভাঙারির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।

ছবি: সুমিত আহমেদ

আগুন বস্তি বাউনিয়াবাদ মিরপুর রাজধানী

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর