ঢাকায় কোরবানির বর্জ্য সরাতে ২১ হাজার কর্মী
২১ জুলাই ২০২১ ১৩:৩২
ঢাকা: কোরবানির পশু জবাই শেষ হলে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এ জন্য দুপুরের পর থেকে পুরোদমে শুরু হচ্ছে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম। বর্জ্য সরানোর জন্য দুই সিটিতে নিয়োজিত থাকছেন ২১ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম পশুরহাট ভাটার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করবেন। অপরদিকে দক্ষিণ সিটির মেয়র আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম শুরু না করলেও একই সময় থেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা মাঠে নামবেন।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১১ হাজার ৫০৮ জন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রায় ১০ হাজার কর্মী ঈদের দিন থেকে বর্জ্য অপসারণ করবে।
দুই সিটিতে হটলাইন চালু: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাশার মো. তাজুল ইসলাম জানান, ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে দুই লাখেরও বেশি পশু কুরবানি দেওয়া হচ্ছে। পশু কুরবানি দেওয়ার জন্য ৩০৭টি স্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর কুরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ডিএনসিসির নিজস্ব ২ হাজার ৬৬৭ জন এবং অন্যান্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনাসহ মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী নিয়োজিত করা হয়েছে। ডিএনসিসির বাসিন্দারা বর্জ্য–সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য ০২-৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০-২২২২ ৩৩৩, ০৯৬০-২২২২ ৩৩৪—এই নম্বরগুলোয় ফোন করে জানাতে পারবেন।
দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকা ও পশুর হাটগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মাঠপর্যায়ে তদারকের জন্য ১০টি দল গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। করপোরেশনের আওতাধীন যেকোনো নাগরিক নিজ এলাকায় সৃষ্ট বর্জ্য–সম্পর্কিত তথ্যাদি প্রেরণ বা পশুর বর্জ্য অপসারণ–সম্পর্কিত সমস্যা সুরাহার জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে। বুধবার (২১ জুলাই) সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার প্রথম জামাতে অংশ নেন মেয়র তাপস। নামাজ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
মেয়র তাপস ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা সুষ্ঠুভাবে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করুন, কোরবানি দিন। ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বর্জ্য সংগ্রহকারীর বিশাল জনবল আজ থেকেই কাজ করবে। কোরবানির বর্জ্য তাদের হাতে দেবেন, যাতে আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহর থেকে সব বর্জ্য অপসারণ করতে পারি। একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী যেন ঢাকাবাসীকে উপহার দিতে পারি।’
কোরবানির ঈদের দিন দুপুর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করার লক্ষ্য ঠিক করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
বর্জ্য অপসারণে ‘ব্যাপক প্রস্তুতি’ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা ‘বড় চ্যালেঞ্জ’। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নগরবাসীর সহায়তা প্রয়োজন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য সরিয়ে নেওয়া। এ কাজে আমরা জনগণের সহযোগিতা চাচ্ছি। কারণ বর্তমানে কোভিড মহামারি চলছে, পাশাপাশি এডিস মশার উপদ্রবও বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকাবাসীকে আরও অনেক বেশি সচেতন হবে।’
মেয়র আতিক বলেন, ‘নগরবাসীকে বর্জ্য ফেলার জন্য ব্যাগসহ অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করবে সিটি করপোরেশন। এরপরও কোনো বাসার সামনে যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে রাখা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ডিএনসিসি’র ১১টি পদক্ষেপ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নাগরিকদের ভোগান্তি নিরসনে ১১টি পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। নির্বিঘ্নে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে এবার সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি।
কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ ঢাকা উত্তর সিটি এলাকায় ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী নিয়োজিত থাকবে। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এ বিষয়ে আতিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, এবার ৩০৭টি জায়গায় পশু কোরবানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসিন্দারা যাতে যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলেন, এজন্য সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দুর্গন্ধ প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যানগাড়িতে করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে বলেও জানিয়েছেন আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, এবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ১১টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি নাগরিকদের সহায়তায় খুব দ্রুত আমরা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জকে জয় করতে পারব।
পদক্ষেপ হলো:
১. কোভিড-১৯ বিবেচনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন ৯টি পশুর হাট নির্ধারণ।
২. ডিজিটাল পশুর হাটের মাধ্যমে জনগণ বাসায় বসেই কোরবানির পশু পছন্দ করতে পেরেছে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল হাটের ব্যবস্থাপনায় ক্রেতার চাহিদা মোতাবেক পশু জবাই এবং বাড়ি বাড়িতে মাংস পৌঁছানোর সেবা প্রদান করা হবে।
৩. ডিএনসিসি’র অন্তর্ভুক্ত নতুন এলাকাসহ ৫৪ ওয়ার্ডে আনুমানিক দুই লাখের অধিক পশু কোরবানি দেওয়া হবে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হবে। কোরবানির পশু জবাই করার জন্য ডিএনসিসি এ বছর ৩০৭ স্থানে নগরবাসিকে পশু কোরবানি দেওয়ার সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাস্তার ওপর কিংবা ড্রেনের পাশে কোরবানি না করার জন্য বিশেষ সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এবার কোরবানির জন্য সর্বমোট ২৫০ জন ইমাম ও ২৫০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি ও দ্রুত অপসারণ কাজের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
৪. জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য চার লাখের অধিক লিফলেট বিতরণ, প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং, প্রতিটি মসজিদের ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে নামাজের পরে ও জুমা’র খুতবার সময় কোরবানি পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে মুসুল্লিদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
৫. রেডিও, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। ১০টি গাড়ির সাহায্যে ডিএনসিসি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিফলেট বিতরণ ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকিং করা হবে।
৬. কোরবানি উপলক্ষে আগত পশু হতে উৎপন্ন বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যন্য বিভাগ যেমন— প্রকৌশল বিভাগের যান্ত্রিক সার্কেল, ভাণ্ডার ও ক্রয় বিভাগ, পরিবহন বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের জন্য মোট ২টি সমন্বয় সভা করা হয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ডিএনসিসি’র নিজস্ব ২৬৬৭ জন এবং অন্যান্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়সহ সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে।
৭. কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাটসমুহ দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষে ডিএনসিসি’র নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি ও ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি বাহির থেকে অতিরিক্ত গাড়ি নিয়োজিত করা হবে।
ঈদ উপলক্ষ্যে বর্জ্য পরিবহন সক্ষমতা কমপক্ষে ১০ হাজার টনে উন্নিতকরণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ঈদের পূর্বের দিন থেকে ঈদের পরবর্তী ২ দিন নিরবিচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণের জন্য বর্জ্যবাহী ড্রাম্প ট্রাক বা খোলা ট্রাক, ভারী যান-যন্ত্রপাতি, পানির গাড়ি, বেসরকারি এবং ভাড়ায় পিকআপভ্যানসহ সর্বমোট ৪৯৩টি গাড়ি নিয়োজিত থাকবে।
৮. কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে লক্ষে জবাইয়ের স্থানে ১১টি ওয়াটার বাউজার দ্বারা তরল জীবাণুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডারসহ অন্যান্য পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহৃত উপকরণ সম্মানিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে বর্জ্য ব্যাগ সাড়ে ছয় লাখ, ব্লিচিং পাউডার ৫০ টন, এক হাজার পাঁচ ক্যান (প্রতিটি ৫ লিটার) স্যাভলন।
৯. ল্যান্ডফিলে ঈদুল আজাহার অতিরিক্ত বর্জ্য পরিবেশসম্মত ডিসপোজাল নিশ্চিত করা জন্য ৬০ X ৫০ X ১২ আয়তনের ২টি পরিখা খনন করা হবে এবং দিনরাত ২৪ ঘণ্টা কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাসহ অতিরিক্ত যান-যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে ল্যান্ডফিলে বর্জ্য ড্রেসিং কার্যক্রমে ৫টি খননযন্ত্র, ৬টি চেইন ডোজার, ১টি ট্যায়ার ডোজার ও ১টি পে-লোডার নিয়োজিত রাখা হবে। প্রতিটি বাড়ি হতে দ্রুত বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য পর্যাপ্ত সার্ভিসের ব্যবস্থা রাখা এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে ভ্যানগাড়িতে করে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে।
১০. কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণে প্লট-২৩-২৬, সড়ক-৪৬, গুলশান-২, নগর ভবন নীচ তলায় অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
১১. কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করার জন্য ২২ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের তদারকি করার জন্য ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং ডিএনসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঈদের ছুটিকালীন কর্মস্থলে অবস্থান করার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।
দক্ষিণে ১০ টিম: কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ তদারকিতে ১০টি টিম গঠন ও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
২১ জুলাই দুপুর থেকে ২৪ জুলাই দুপুর পর্যন্ত বর্জ্য করা হবে বলে সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঢাকা দক্ষিণের মাঠ পর্যায়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৯০টি খোলা ট্রাক, ৫৩টি কম্পেক্টর, ১২টি পানির পানির গাড়ি, ১০২টি ডাম্প ট্রাক, ১৪টি পে-লোডার, ৮১টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ৯টি টায়ার ডোজার, ২টি ট্রেইলার, ৯টি স্কিড লোডারসহ প্রায় পৌনে ৪০০ যান-যন্ত্রপাতি নিযুক্ত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঈদ উপলক্ষে এরইমধ্যে প্রতি কাউন্সিলরকে একহাজার করে এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে ১ হাজার ৫০০টি করে পরিবেশবান্ধব থলে দেওয়া হয়েছে।
“এসব থলে যারা কোরবানি করবেন তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য সেসব থলের মধ্যে ভরে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে করপোরেশনের নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গের কাছে হস্তান্তর করবেন।”
পরিবেশ সুরক্ষা ও দূষণমুক্ত রাখার লক্ষ্যে প্রায় ৩০ টন ব্লিচিং পাউডার ও ১৮০০ লিটার তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হবে বলেও জানানো হয়েছে।
উত্তরে তদারকিতে ২২ সদস্যের টিম: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ২ লাখের বেশি পশু কোরবানি দেওয়া হতে পারে এবার। পশু কোরবানির জন্য এই সিটিতে ৩০৭টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে এবার।
পশু কোরবানির জন্য ডিএনসিসি ২৫০ জন ইমাম এবং ২৫০ জন মাংস প্রস্তুতকারীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। রাস্তায় এবং ড্রেনের পাশে পশু কোরবানি না করতে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়েছে।
উত্তর সিটি জানিয়েছে, তাদের নিজস্ব ২ হাজার ৬৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পাশাপাশি বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী কোরবানির পশু বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়োজিত থাকবে।
বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাটগুলো দ্রুত পরিষ্কার করার লক্ষে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি, ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং করে অতিরিক্ত গাড়ি নিয়োজিত করা হবে। দৈনিক ১০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য ধরে এসব যানবাহন ও যন্ত্রপাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পর দুই দিন বর্জ্যবাহী ড্রাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক, ভারী যান-যন্ত্রপাতি,পানির গাড়ি, পিকআপ ভ্যানসহ ৪৯৩টি যানবাহন এ কাজে নিয়োজিত থাকবে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থানে তরল জীবাণুনাশক মেশানো পানি ছিটানো হবে ১১টি ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে।
কোরবানির বর্জ্য ফেলার জন্য ৬ লাখ ৫০ হাজার বিশেষ ব্যাগ, ৫০ টন ব্লিচিং পাউডার এবং ৫ লিটারের ১ হাজার ৫টি ক্যান কেনা হয়েছে। বর্জ্য ফেলার ব্যাগ, ব্লিচিং পাউডারসহ অন্যান্য পরিচ্ছন্নতা উপকরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ২২ সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ এবং অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে সিটি করপোরেশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/একে
ঈদুল আজহা কোভিড-১৯ কোরবানি ঢাকা উত্তর সিটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা