গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘জুলাই পদযাত্রা’ ঘিরে সহিংসতায় চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ঘটনায় গোটা জেলায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চলে তল্লাশি। বাড়ানো হয় টহল। এদিকে বুধবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে সকাল থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশের গাড়িতে আগুন, ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সমাবেশস্থলেও ভাঙচুর চালায় আওয়ামী লীগ। সমাবেশ শেষে ফের হামলা চালায় নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে নাহিদ-হাসনাত-সারজিসরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে নগরজুড়ে নেমে আসে এক ধরনের নিস্তব্ধতা। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ, সড়কে যান চলাচল ছিল সীমিত, মানুষজন ঘরে অবস্থান করছিলেন নিরাপত্তা শঙ্কায়।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে প্রশাসন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ করছে প্রশাসন।