টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের এক তরুণীকে (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর থানার ব্রাহ্মণকুশিয়া সুতার পাড়া এলাকার সেন্টু চন্দ্র দাশের ছেলে দুলাল চন্দ্র (২৮), হালিম খানের ছেলে সজিব খান (১৯) এবং মৃত কিসমত মিয়ার ছেলে রুপু মিয়া (২৭)। তারা সবাই পেশায় সিএনজি চালক।
পুলিশ জানান, শুক্রবার রাতে ওই যুবতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর থেকে ঢাকা এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে আসেন। সেখান থেকে তিনি চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ভুলবশত উত্তরবঙ্গগামী দ্রুতযান ট্রেনে উঠে পড়ে। এ সময় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে অন্যযাত্রীদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে টাঙ্গাইলের কথা বলেন। পরে ওই নারী রাত সাড়ে ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে নামেন। এ সময় ওই নারী স্টেশনে নেমে জিআরপি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। জিআরপি পুলিশের এক সদস্য সিএনজি চালক দুলালকে ঢাকার ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে। এদিকে কালিহাতী উপজেলার সল্লায় একটি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে চলে যায়। এ সময় ওই তরুণীকে ফুসলিয়ে প্রথমে স্টেশনের পিছনে কাঠবাগানে নিয়ে দুলাল ধর্ষণ করে। পরে স্টেশন সংলগ্ন ব্রাহ্মণকুশিয়ায় অভিযুক্ত রুপু মিয়ার বাড়িতে নিয়ে রুপু মিয়া ও সজিব খান ধর্ষণ করে।
এ ঘটনার পর ওই যুবতি ভোরের দিকে রেলস্টেশনে গিয়ে পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি অবগত করেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল থানায় অবগত করে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সকালের দিকে অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে। ওই নারী বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘারিন্দা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন উর রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা থানা পুলিশকে অবগত করি এবং আমাদের সহযোগিতায় থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।
টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।