বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের চাকঢালা সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের পুরান মাইজ্জারটেক অংশে দুই দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ও বিকালে পৃথক এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, জামছড়ি, সাপমারা ঝিরিসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জামছড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, সকালে ও দুপুরে দুই দফায় তারা ভারী অস্ত্রের গুলির প্রচণ্ড শব্দ শুনেছেন।
সীমান্তের এসব বাসিন্দাদের ধারণা, রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরএসওর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আরাকান আর্মি। সংঘর্ষের পেছনে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সম্পৃক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন তারা।
এ ঘটনায় হতাহতের নিশ্চিত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ পরিস্থিতিতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দায়িত্বে থাকা ১১ বিজিবি ও ৩৪ বিজিবি তাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির জওয়ানদের কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তের ওপার থেকে গুলির খোসা বাংলাদেশ অংশে এসে পড়েছে তবে মিয়ানমারে কি কারণে গুলিবিনিময়ের ঘটনা তা নিশ্চিত জানি না।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কপিল উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি।