কক্সবাজার: কক্সবাজারে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র ও মারামারিসহ ২১টি মামলার আসামি মোহাম্মদ শফি ওরফে ‘শফি ডাকাত’কে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ ও গ্রেনেডসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান।
তিনি জানান, সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬ এর পশ্চিম পাশের হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে শফিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পালটা ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার শফির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার পাহাড়ি আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও সামগ্রীগুলো হলো, একটি ওয়ান শুটার গান, দুটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, ১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন, ১০টি ডেটোনেটর, ৫০ রাউন্ড তাজা রাইফেলের গুলি, ৫৩টি রাইফেলের খালি কার্তুজ, ছয়টি শর্টগানের খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টালমেথ (আইস) ও তিনটি গ্রেনেড।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান জানান, ২৮ বছর বয়সি শফির বাড়ি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা, দুটি ডাকাতির প্রস্তুতি, ছয়টি অস্ত্র, ছয়টি মারামারিসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শফি ডাকাত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। তার নেতৃত্বে দলটি রোহিঙ্গা ও স্থানীয় বাঙালিদের জিম্মি করে পাহাড়ি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।
গ্রেফতার শফিককে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা।