রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা পুনরায় চালুর অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শহিদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে হলের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ সময় ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না’, ‘ভিক্ষা চাইলে ভিক্ষা নে, কোটার চিন্তা বাদ দে’, ‘পোষ্য কোটা কবরে, তারা কেন বাইরে’ বলে নানান স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘পোষ্য কোটা একটি মীমাংসিত বিষয়। রাকসুকে জিম্মি করে এ কোটা আদায়ের অপচেষ্টা চলছে। জুলাই আন্দোলনের মতোই দলমত নির্বিশেষে আমরা এক হয়ে পোষ্য কোটা নামক অপশক্তির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব। পোষ্য কোটা থাকবে না, রাকসুও হবে।’
এ সময় শহিদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজীব খান বলেন, ‘পোষ্য কোটার কবর রচনার পর এটি অফিসিয়ালি বিলুপ্ত ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পোষ্য কোটার মাধ্যমে রাবিকে পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছিল, যা আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যর্থ করে দিয়েছি। রাকসুকে কেন্দ্র করে কোনো টালবাহানা আমরা মেনে নেব না।’
আরেক শিক্ষার্থী মো. রায়হান হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে ১ পারসেন্ট বনাম রাকসু নামে একটি নীলনকশা তৈরি হচ্ছে। আমরা চাই না এ অযৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন হোক। যারা এ দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আমরা প্রশাসনের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে নামব।’
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আহমাদ আহসানুল্লাহ ফারহান বলেন, ‘৩৫ বছর পর রাকসু বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছিলাম, কিন্তু কিছু শিক্ষক-অধিকর্তা তা ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। জুলাই আন্দোলনে যেভাবে আমরা পোষ্য কোটার বিরুদ্ধে লড়েছি, ভবিষ্যতেও কোনো কোটা মেনে নেব না। ক্লাস ও রাকসু—দুটোই সমানভাবে চলবে। আমরা শিক্ষকদের বলতে চাই, জুলাই আন্দোলনে যারা আমাদের পাশে ছিলেন তারা এবারও আমাদের পক্ষেই থাকবেন।’