Tuesday 21 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ দফা দাবিতে রাবিতে চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের কমপ্লিট শাটডাউন

রাবি করেসপন্ডেন্ট
২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৪০ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৩৭

ভবনে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী: বৈষম্যমূলক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন, ইন্টার্নশিপ ভাতা চালু এবং বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানের টেকনিক্যাল ক্যাডার সংযোজনের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বিভাগের ভবনে তালা ঝুলিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা বিভাগের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এর আগে, দুপুর ১টায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।

এই সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন, যেমন: সাইকোলজির আধিপত্য, মানি না মানবো না; এক দুই তিন চার, ডিপার্টমেন্টে তালা মার; বৈষম্য নিপাত যাক, সিন্ডিকেট মুক্তি পাক; সাইকোলজির আধিপত্য ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ক্লিনিক্যালের বাংলায় সাইকোলজির ঠাঁই নেই; ডিপার্টমেন্টে রাজনীতি চলবে না।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জান্নত জামান বলেন, “যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগগুলোতে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করার পরই ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাওয়া যায়, আমাদের বিভাগেও ২০২৩ পর্যন্ত একই নিয়ম ছিল। কিন্তু আমাদের বিভাগের সভাপতি হিসেবে মনোবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষক আসার পর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তন করে শুধু মনোবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা অনার্সে ৩ মাস, মাস্টার্সে ৬ মাস ইন্টার্ন করি, যেখানে অনেক শিক্ষার্থী অ-বিজ্ঞান ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসে।”

অন্য শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, ‘আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিভাগ চালু করতে দেবো না। ২০২৫ সালের নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লক্ষ্য করা গেছে—২০২৩ সালের নিয়োগ সার্কুলারের অর্ডিন্যান্স পরিবর্তন করে কেবল সাইকোলজি বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ সাম্প্রতিক সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি থেকে কাউকেই নেওয়া হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান সাইকোলজি বিভাগ থেকে আসার পরই এই পরিবর্তন হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে দাবি মেনে নেওয়া না হলে সম্পূর্ণ শাটডাউন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।

উক্ত কর্মসূচিতে বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর