Thursday 20 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নাগরিকদের কণ্ঠস্বর সব নেতার কাছে পৌঁছে দিতে হবে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৩ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৫

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি: সারাবাংলা

খুলনা: সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য সাধারণ মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নাগরিক ইশতেহার প্রণয়নের কাজ চলছে। নাগরিকদের কণ্ঠস্বর অবশ্যই সব রাজনৈতিক নেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি থাকলেই তা বাস্তবায়িত হয় না; সেজন্য সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে খুলনার একটি অভিজাত হোটেলে এসডিজি বাস্তবায়নে ‘নাগরিক প্ল্যাটফরম, বাংলাদেশ’ আয়োজিত আঞ্চলিক পরামর্শসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণ আস্থা না পেলে নির্বাচন গণতান্ত্রিক রূপ পায় না। মুক্ত আলোচনা, স্বচ্ছতা ও সততার ভিত্তিতে আস্থা পুনরুদ্ধার এখন সময়ের দাবি। দেশ নির্বাচনমুখী হয়ে উঠেছে; নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু আমরা কেমন নির্বাচন পাব— সেই প্রশ্ন জনগণের মনে রয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

ড. দেবপ্রিয় বলেন, খুলনাসহ দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন সম্ভাবনা বহুদিন ধরে আলোচিত হলেও বাস্তবায়ন তেমন দৃশ্যমান নয়। পদ্মা সেতু চালুর পর প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়নি। জমির দাম বাড়লেও কর্মসংস্থান বা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি বাড়েনি।

তিনি আরও বলেন, এলাকায় যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের অবশ্যই আঞ্চলিক উন্নয়ন–পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম পরবর্তী সময়ে এর বাস্তবায়নে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

পরামর্শসভার সমাপনী বক্তব্য দেন সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, এনসিপির ডা. আব্দুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।

পরামর্শসভায় খুলনা ও আশপাশের জেলার সাধারণ নাগরিক, শিক্ষক, গবেষক, আইনজীবী, রাজনৈতিক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীরা অংশ নেন। তারা আগামী নির্বাচনে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, উপকূলীয় মানুষের সুযোগ–সুবিধা, সুন্দরবন রক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নসহ নানা প্রত্যাশা তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর