নোয়াখালী: আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাবা ও ছেলে। নির্বাচনী লড়াইয়ে ব্যতিক্রমী এই প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় আলোচনা ও কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে ।
গত সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে দেখা যায়, বাবা আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) হয়ে একতারা প্রতীকে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। ছেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ শাপলা কলি প্রতীকে মনোনয়ন দাখিল করেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন।
এদিকে,বাবা ছেলের নির্বাচনী মাঠে নামাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ এটাকে দেখছেন রাজনৈতিক একটা ভিন্ন কৌশল হিসেবে। এই ধরনের প্রার্থীতা ভোটের মাঠ প্রভাবিত করতে পারে।
জানা গেছে, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে এবারের নির্বাচনে মোট ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে বিএনপি থেকে মো. মাহবুবের রহমান শামীম, জামায়াতে ইসলামী থেকে অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে আবদুল হান্নান মাসউদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন মোহাম্মদ ফজলুল আজিম, শামীমা আজিম, তানভীর উদ্দিন রাজিব, মুহাম্মদ নুরুল আমীন।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে এ. টি. এম নবী উল্যাহ, নাছিম উদ্দিন মো. বায়েজীদ জাতীয় পার্টি (জাপা)। অন্যান্য দলের মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব, গণঅধিকার পরিষদের মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম শরীফ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মোহাম্মদ আবুল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) আমিরুল ইসলাম মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমি সক্রিয়ভাবে লড়াই করেছি। তবে ভোটের অভিজ্ঞতা আমার জন্য একেবারেই নতুন। ভোটার হওয়ার পর এখন পর্যন্ত কোনো জাতীয় বা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। নোয়াখালী-৬ আসনের বাকি ১৩ জনের মধ্যে আমার বাবা একজন প্রবীণ ও অভিজ্ঞ মানুষ। তাই তার মনোনয়নপত্র দাখিল করাকে আমি উৎসাহিত করেছি। তবে এ বিষয়ে আব্দুল মালেকের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।