সুবর্ণচরে আবারও ‘নির্বাচনি’ ধর্ষণ!
১ এপ্রিল ২০১৯ ১৪:৩২
নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ওই নারী জানিয়েছেন। এর আগে, গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।
রোববার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার উত্তর বাগ্গা গ্রামের রুহুল আমিনের মাছের খামারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আহত অবস্থায় নির্যাতিতা নারীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সুবর্ণচরে ধর্ষণের বাড়ি, নির্যাতিতার ভাঙা হাত ও আসামির চেয়ার
নির্যাতিতা নারী অভিযোগ করে বলেন, ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকের প্রার্থী তাজ উদ্দিন বাবরকে ভোট দেন তিনি ও তার স্বামী। সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে দুইজন বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়িতে যাওয়ার পথে নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান তালা প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বাহারের সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন তাদের মারধর করে। এ সময় বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার তাকে পাশের রুহুল আমিনের মৎস্য প্রজেক্টের কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার স্বামীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে। রাতেই তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা হাসপাতালে নির্যাতিতা নারীকে দেখতে যান এবং ভুক্তভোগী দুইজনের কথা শোনেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে নির্যাতিতা নারীর পরিবারের সঙ্গে অভিযুক্তদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ধর্ষণের অভিযোগটি পুলিশ খতিয়ে দেখবে। আমরা চাই দোষীদের শাস্তি হোক।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে সুবর্ণচরের ৪০ বছরের এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন তার স্বামী ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় মামলা করেন।
সারাবাংলা/এসএমএন/একে