Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাহাড়ের চাঁদাবাজ হারুন বাহিনীর প্রধান অস্ত্রসহ গ্রেফতার


৭ মে ২০১৯ ১৫:৩৩

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পাহাড়ে আস্তানা গেড়ে চাঁদাবাজি করে বেড়ানো একটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার (৬ মে) গভীর রাতে মো. হারুন প্রকাশ টেইলর হারুন (৩০) নামে ওই যুবককে নগরীর আকবর শাহ থানার বড়টেক পাহাড়ে তার আস্তানা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হারুন নগরীর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের মুজিবনগর এলাকার বড়টেক পাহাড়ের মৃত ফছি আলমের ছেলে।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মির্জা মাহমুদ সায়েম সারাবাংলাকে জানান, বিভিন্নজনের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাবার পর টেইলর হারুন হিসেবে এলাকায় পরিচিত এই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি, একটি পাইপগান, একটি কিরিচ, দুইটি লোহার পাইপ ও তিন রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযানে যাওয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০১৬ সালের নভেম্বরে অস্ত্র মামলায় হারুনকে ডিবি’র টিম গ্রেফতার করেছিল। দেড় বছর জেল খেটে ২০১৮ সালের মে মাসে সে জামিনে বেরিয়ে আসে। এরপর সাহাবউদ্দিন, মিলন এবং সুমনসহ আরও কয়েকজন মিলে একটি বাহিনী গড়ে তোলে।’

‘বড়টেক পাহাড়ের আশপাশের এলাকায় সরকারি খাস জায়গা আছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড়ও আছে। গত কয়েক বছরে সেখানে আবাসিক এলাকা হচ্ছে। প্লট বিক্রি হচ্ছে। মূলত এই জমি কেনাবেচার নিয়ন্ত্রণ নিতেই একটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলে হারুন। তার বাবা ছিল ওই এলাকার বিভিন্ন পাহাড়ের মালিকের কেয়ারটেকার। হারুনের জন্মও সেখানে। পেশায় একজন দর্জি হলেও এর আড়ালে সে একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ।’

বিজ্ঞাপন

গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইলিয়াছ সারাবাংলাকে জানান- মুজিবনগর, শাপলা আবাসিক এলাকা, বড়টেক পাহাড় এলাকায় জমি বেচাকেনার ক্ষেত্রে হারুনের বাহিনীকে চাঁদা দিতে হয়। জমি কেনার পর দখলে যেতে হলেও হারুনকে চাঁদা দিতে হয়। কমিশনের বিনিময়ে হারুন অবৈধভাবে জমি দখল করে দেয়। এছাড়া প্লট বা জমি কিনে বাড়ি বানানোর সময় ইট, বালি হারুনের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কিনতে হয়। অন্যথায় হারুন বাড়ি তুলতে বাধা দেয়।

ইলিয়াছ বলেন, ‘বড়টেক পাহাড়ের ঢালুতে সে একটি আস্তানা বানায়। এর আশপাশে আছে সশস্ত্র পাহাড়া। ভেতরে হারুন বসে টেলিফোনে চাঁদা দাবি করে। বাহিনীর অন্য সদস্যরা গিয়ে চাঁদা নিয়ে আসে। হারুনের এত ক্ষমতার উৎস এবং গডফাদারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

হারুনের দুই প্রধান সহযোগী সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪টি এবং মিলনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা আছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ইলিয়াছ।

সারাবাংলা/আরডি/জেএএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর