Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত


১২ জুলাই ২০১৯ ১৭:২৪

কুড়িগ্রাম: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টির পানিতে কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব এলাকার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট, মাছের ঘের, শাক-সবজিসহ আমন বীজতলা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদি পাড়া, গারুহারা, ভগবতিপুর, কালির আলগা, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চরবাগার কুটি, চর গুজিমারী, বাবুর চর, গাবুরজানসহ ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোর ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদিয়া পাড়া গ্রামের এরশাদুল হক জানান, গত রাত থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি হু হু করে বাড়ছে। তীরবর্তী ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে পড়েছে। যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চলে প্রায় ১২শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানায়, গত ৩০ ঘণ্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুন খাওয়া পয়েন্টে ৬০ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

কুড়িগ্রাম ধলেশ্বরী নদ-নদীর পানি পানি বন্যা ব্রহ্মপুত্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর