কুড়িগ্রামে তিস্তার চরের শত শত হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫২
কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে কুড়িগ্রামের প্রায় ৪০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির আমন, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল। চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িতে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত সহস্রাধিক পরিবার।
ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কবলিতরা। এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট তলিয়ে থাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও। এ অবস্থায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।
বন্যার পানি দীর্ঘায়িত হলে চরের পাকা ধানসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে জানিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকরা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখা গ্রামের আব্দুল বারেক জানান, গত চারদিন ধরে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত রাতে বাড়িতে পানি উঠেছে। রাস্তা ঘাট তলিয়ে গেছে। চলাফেরা করতে পারছি না। খাওয়ারও কষ্ট হচ্ছে।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালির মেলা এলাকার কৃষক শামসুল জানান, বন্যায় আমার দুই একর জমির আমন তলিয়ে গেছে। বাদাম ক্ষেতও তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে না গেলে সব নষ্ট হয়ে যাবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলায় বন্যার পানিতে নিমজ্জিত ছিল ১৫৯ হেক্টর জমির আমনসহ অন্যান্য ফসল। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, নিমজ্জিত জমির পরিমান আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টিপাত কমে আসায় আজকের মধ্যেই নদ-নদীর পানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা।
সারাবাংলা/ইআ