রাখের উপবাস— কার্তিকের ব্রতে বিপৎমুক্তির প্রার্থনা | ছবি
৯ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫১ | আপডেট: ৯ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:২২
দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে বাঁচতে কার্তিক মাসে উপবাস পালনের পাশাপাশি আশ্রমে প্রদীপ ও ধূপ জ্বালাতে বলেছিলেন বাবা লোকনাথ। সেই থেকে তার ভক্তরা প্রতি বছর কার্তিক মাসের শেষার্ধে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার জড়ো হন বাবা লোকনাথের আশ্রমে, প্রদীপ জ্বেলে দিয়ে প্রার্থনা করেন বিপদ-আপদ ও রোগবালাই থেকে মুক্তির। সেই প্রার্থনাই পরিচিত ‘রাখের উপবাস’ বা ‘কার্তিক ব্রত’ নামে। কেউ কেউ ‘গোসাইর উপবাস’ বা ‘ঘৃত প্রদীপ প্রজ্বালন’ উৎসব বলেও ডাকেন।
রাজধানী ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রমে প্রতি বছর ঘটা করে পালন করা হয় রাখের উপবাস। কেবল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকনাথ ভক্তরা এই উৎসবে যোগ দিতে ছুটে আসেন এই আশ্রমে। সেখান থেকেই ছবি তুলেছেন সারাবাংলার সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট হাবিবুর রহমান
- প্রতি বছর কার্তিকের শেষ ১৫ দিনে শনি ও মঙ্গলবার করে পালন করা হয় রাখের উপবাস।
- এই উৎসবে যোগ দিতে ভক্তরা প্রদীপ হাতে জড়ো হন বাবা লোকনাথের আশ্রমে।
- প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন রোগ-শোক বিপৎমুক্তির।
- প্রার্থনা করেন নিজেদের জন্য, পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের জন্য।
- বাড়ি থেকে আনা ফলমূল নিয়ে সন্ধ্যা নামার আগে সারিবদ্ধভাবে আশ্রম ঘিরে বসতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা।
- সামনে কলাপাতার ওপর রাখা হয় ঘিয়ের প্রদীপ।
- যে কয়জন আপনজনের জন্য প্রার্থনা করা হয়, গুনে গুনে সেই কটি প্রদীপ সামনে রাখেন ভক্তরা।
- অপেক্ষায় থাকেন সূর্য ডোবার।
- সূর্যাস্ত হলেই বেজে ওঠে ঘণ্টা।
- উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে লোকনাথ ভক্তরা সবাই একযোগে জ্বালতে শুরু করে প্রদীপ।
- একসঙ্গে জ্বলে ওঠে শত শত প্রদীপ। অন্ধকার ফুঁড়ে যেন আলোর ধারা বয়ে যায় গোটা এলাকায়।
- প্রার্থনাধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে আশ্রম।
- প্রদীপের আগুনে অন্ধকার ভেদ করে জ্বলে ওঠে আলোর রেখা।
- চারদিকে ধূপের ধোঁয়া ও প্রদীপের আলোয় এক অপার্থিব আবহ তৈরি হয় আশ্রম প্রাঙ্গণে।
নারায়ণগঞ্জ বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম রাখের উপবাস লোকনাথ মন্দির