চট্টগ্রাম ব্যুরো: পাশের জঙ্গল থেকে রানওয়েতে হঠাৎ শিয়ালের আগমন। এর ফলে অভ্যন্তরীণ রুটের একটি বিমানকে উড্ডয়নের সব প্রস্তুতি নিয়েও ২৬ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। শিয়াল তাড়ানোর পর অবশ্য বিমানটি নির্বিঘ্নে রওনা দেয়।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়েতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটের উড্ডয়নের নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে। সাড়ে ১১টার মধ্যে যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি উড্ডয়নের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। এসময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ টাওয়ারে বার্তা পাঠান, রানওয়েতে কিছু একটা দেখা যাচ্ছে।
এরপর বিমানবন্দরের কর্মীরা রানওয়েতে গিয়ে একটি শিয়াল দেখতে পান। তারা শিয়ালটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার পর বেলা ১২ টা ৬ মিনিটে ইউএস বাংলার ফ্লাইটটি রওনা দেয়।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণের আগে আমাদের অপারেশন জিপ রানওয়ে পরিদর্শন করে। ইউএস বাংলার ফ্লাইটটিকেও পরিদর্শনের পরই উড্ডয়নের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একেবারে ফ্লাই করার আগমুহুর্তে একটা শিয়াল পাশের জঙ্গল থেকে রানওয়েতে ঢুকে পড়ে। তবে তথ্যটা জানার পর দ্রুততার সাথে শিয়ালটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।’
বিমানবন্দরের অ্যাপ্রোন ও রানওয়েতে কুকুরের উৎপাতে অতীষ্ঠ হয়ে গত ২১ এপ্রিল এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইব্রাহীম খলিল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের রানওয়ের চারপাশে বিশাল জঙ্গল, বড় বড় ঘাস। এত বেশি ঘাস যে সেগুলো একেবারে ক্লিয়ার করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট নেই। তবে অ্যাপ্রোন সাইডের ঘাসগুলো আমরা নিয়মিত ক্লিয়ার করি, জঙ্গলটা সেভাবে করা হয় না। জঙ্গলে প্রচুর শিয়াল আছে। আবার কুকুরও ঢুকে পড়ে। তো, শিয়াল তো জঙ্গলের ভেতর থেকে ধরার সুযোগ নেই। কুকুর আমরা প্রতি ছয়মাস পরপর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় নেট দিয়ে ধরে কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাড়ে ছেড়ে দিয়ে আসি।’