চট্টগ্রাম ব্যুরো: ডিমের দামে স্বস্ত্বি মিললেও ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। সবজি, মাছ-মাংসের চড়া দামে কোনো হেরফের নেই। তবে ডাল, চিনি, আটার দাম কমেছে। অন্যদিকে মোটা চালের দাম বেড়েছে। খোলা সরিষার তেলের দামও বাড়তি।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দরের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

ব্রয়লার মুরগী। ছবি: সারাবাংলা
গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতিকেজি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। বাজারভেদে সেটা বৃহস্পতিবার ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা। তবে অন্যান্য মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের মধ্যে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস দেশি হাঁস ৫০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের চীনা হাঁস প্রতি পিস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার। ছবি: সারাবাংলা
গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশী হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুদি দোকান। ছবি: সারাবাংলা
মুদিপণ্যের মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা মসুরডাল, খেসারি ডাল ও মুগডাল কেজিতে ১০ টাকা করে এবং বুটের ডাল ৩০ টাকা কমেছে। বাজারে ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খোলা চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমেছে। প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা ও খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটারে ২০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ছবি: সারাবাংলা
এছাড়া দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মসলার মধ্যে এলাচ প্রতিকেজি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

চালের বাজার। ছবি: সারাবাংলা
চালের মধ্যে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা কেজিতে ২-৩ টাকা বেড়ে ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ছবি: সারাবাংলা
সবজির চড়া দরে কোনো হেরফের হয়নি। শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, ভারত থেকে আমদানি করা টমেটো প্রতিকেজি ১৪০ টাকা, দেশি টমেটো ও উত্তরবঙ্গের বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চাষের লাল আলু ১৬০ টাকা, কাঁকরোল, দেশি পটল, কালো বেগুন ও পেঁয়াজ পাতা ১২০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি গাজর, লম্বা বেগুন, গোল বেগুন, শালগম, দেশি শসা, ছোট করলা প্রতিকেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, কচুরমুখী, লাউ, চালকুমড়া ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা টমেটো ৭০ টাকা, হাইব্রিড পটল ৬০ টাকা, মূলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, হাইব্রিড শসা, শীতকালীন ফুলকপি-বাঁধাকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, পুরনো দেশি আলু ২৫ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচাবাজার। ছবি: সারাবাংলা
অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার। ছবি: সারাবাংলা
অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। বাজারে লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাস ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

ছবি: সারাবাংলা
এদিকে দুই কেজি বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায় আর এক কেজির ইলিশের দাম ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকার মতো। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ছবি: সারাবাংলা
মাসখানেক ধরে বাড়তি পেঁয়াজের দামও নিম্নমুখী হয়নি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ মানভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা এবং বাছাই করা ভালো মানের পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মানভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ দরে বিক্রি হয়েছে।