Friday 05 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবশেষে নিম্নমুখী সবজি, ব্রয়লার মুরগি-ডিমের দামও কমেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৪

শীতকালীণ সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ছবি: সারাবাংলা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে চড়া সবজির দর অবশেষে নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। ব্রয়লার মুরগি আর ডিমের দাম কমেছে। তবে মাছ- গরুর মাংস, মুদিপণ্যের দাম অপরিবর্তিত আছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার ও কাজির দেউড়ি বাজার ঘুরে এবং বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানে দর যাচাই করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

সবজির বাজার। ছবি: সারাবাংলা

শীতকালীন অধিকাংশ সবজি এখন ৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ফুলকপি-বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, নতুন শিম ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শালগম ৮০ টাকা, প্রতি কেজি বগুড়ার নতুন লাল আলু ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মুন্সীগঞ্জের পুরোনো আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা, বগুড়ার পুরোনো আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। শিম বীজ ১৪০ টাকা, কাঁকরোল, দেশি পটল, দেশি গাজর, দেশি শসা, ছোট করলা প্রতিকেজির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা, কচুর লতি, কচুরমুখী, লাউ, চালকুমড়া ৫০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সবজির বাজার। ছবি: সারাবাংলা

অন্যান্য সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন লাল শাক-পালং শাকসহ অন্যান্য সব ধরনের শাক আঁটি প্রতি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে শীতকালীন সবজি এবং মুন্সীগঞ্জ ও বগুড়া থেকে আলু সরবরাহ বেড়েছে। এর ফলে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা করে কমেছে।

ব্রয়লার মুরগী। ছবি: সারাবাংলা

গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল প্রতিকেজি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার বাজারভেদে সেটা ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম কমেছে অন্তত ১০ টাকা। তবে অন্যান্য মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের মধ্যে দেড় কেজি ওজনের প্রতি পিস দেশি হাঁস ৫০০ টাকা, দুই কেজি ওজনের চীনা হাঁস প্রতি পিস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার। ছবি: সারাবাংলা

গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৮০ থেকে ৯০০ টাকা, খাসির মাংস ১২০০ টাকা এবং ছাগল ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা থেকে কমে ১১০ টাকা, সাদা ডিম ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও দেশি হাঁসের ডিম ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার। ছবি: সারাবাংলা

অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। বাজারে লইট্যা ২০০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, চিংড়ি (বাগদা ও গলদা) প্রকারভেদে ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া, খাল-নদী ও চাষের মাছের মধ্যে রুই ও কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ছোট আকারের পাবদা ৪০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, পুঁটি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া বড় সাইজের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, নাইলোটিকা ২২০ থেকে ২৮০ টাকা, কৈ ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং পাঙাশ ও সিলভার কার্প ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

ছবি: সারাবাংলা

এদিকে দুই কেজি বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায় আর এক কেজির ইলিশের দাম ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকার মতো। ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনের জাটকা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

একমাস ধরে বাড়তি পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী হয়নি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ মানভেদে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা এবং বাছাই করা ভালো মানের পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি রসুন ৮০ থেকে ১১০ টাকা, চায়না রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ভারতীয় আদা মানভেদে ১৬০ থেকে ১৮০ দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদি দোকান। ছবি: সারাবাংলা

মুদিপণ্যের দামেও তেমন হেরফের হয়নি। বাজারে ছোট মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ৯০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১২০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৪৫ টাকা, খেসারি ডাল ৯০ টাকা, বুটের ডাল ৬০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, মাষকলাই ডাল ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ টাকা ও খোলা চিনি ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজির প্যাকেট আটা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুুদি দোকান। ছবি: সারাবাংলা

এছাড়া দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১২০ টাকা, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা, কৌটাজাত ঘি ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ টাকা, খোলা ঘি ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মশলার মধ্যে এলাচ প্রতিকেজি ৪৭৫০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১২৮০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৩৫০ টাকা ও কালো গোলমরিচ ১১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

মুদি দোকান। ছবি: সারাবাংলা

চালের মধ্যে মোটা চাল ব্রি-২৮ ও স্বর্ণা প্রতিকেজি ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকা, মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল ৭৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি লালতীর, এসিআই, স্কয়ার কোম্পানির প্যাকেট পোলাও চাল ১৫৫ টাকা, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি/এমপি