চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা দিতে আসা সাবেক এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার কে এম নূর আহমদ জানিয়েছেন, রোববার (৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সারাবাংলাকে বলেন, ‘এমদাদের অপহরণের ঘটনা সত্যটা প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন জড়িত রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রক্টরকে বলা হয়েছে। তাদের নির্বাচনি বোর্ড বাতিল করা হয়েছে। ফের নতুন করে নির্বাচনি বোর্ড গঠনের জন্য ডাকা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান হেলাল উদ্দিন আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এমদাদকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা প্রদান করা হয়েছে সত্য। সে জন্য নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে। পরীক্ষায় বাধা প্রদানকারী তিনজনকে পাওয়া গিয়েছে। নিয়মানুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২৭ মার্চ ছাত্রশিবির সন্দেহে এমদাদুল হককে জীববিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে তুলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহমদকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এমদাদুল হক প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।
সারাবাংলা/সিসি/একে