ডব্লিউএমইউ’র সঙ্গে শিক্ষা সহযোগিতায় যুক্ত হল মেরিন একাডেমি
২৩ মে ২০১৯ ০৩:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির সঙ্গে ‘শিক্ষা সহযোগিতা’ সমঝোতা করেছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি। ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (ডব্লিউএমইউ) প্রেসিডেন্ট ড. ক্লিওপেট্রা ডুম্বিয়া হেনরী এবং বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
মঙ্গলবার (২১ মে) সুইডেনের মালমো শহরে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়েছে। সুইডেনে ডব্লিউএমইউ ৩০ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড অব গভর্নর্সের একজন গভর্নর হিসেবে বোর্ডের ৩৭তম সভায় অংশও নিয়েছেন কমান্ড্যান্ট সাজিদ।
মেরিন একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নতুন সমঝোতা স্মারকের উদ্দেশ্য হল- জাহাজ চলাচল এবং সংশ্লিষ্ট সামুদ্রিক এলাকায় যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দু’পক্ষের মধ্যে আইনগত নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন।
এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির শিক্ষকরা ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেবেন। শিক্ষা বিনিময় ছাড়াও পেশাগত উন্নয়ন কোর্স পরিচালনা করা হবে। ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির দূর-শিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেবেন বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শিক্ষক বিনিময় ও যৌথ গবেষণা পরিচালনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ক্লিওপেট্রা সামুদ্রিক পরিবেশ বিষয়ে একটি নতুন স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির সঙ্গে যৌথ-কার্যক্রম পরিচালনার আশা করেন।
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি ১৯৯০ সাল থেকে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ১৪টি শাখার মধ্যে অন্যতম একটি শাখা। আইএমও’র সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির ১৪টি শাখা বিলুপ্ত করা হয়। তবে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পার্টনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
সারাবাংলা/আরডি/এমএইচ