জালিয়াতি, প্রাণের ৩০ কনটেইনার জব্দ চট্টগ্রাম বন্দরে
১১ জুন ২০১৯ ২২:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জালিয়াতির মাধ্যমে প্লাস্টিকের দানার পরিবর্তে সিমেন্ট আমদানি করায় চট্টগ্রাম বন্দরে প্রাণ গ্রুপের ৩০টি কনটেইনারের খালাস স্থগিত করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। প্লাস্টিকের দানা ঘোষণা দিয়ে সৌদি আরবের একটি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সিমেন্ট আমদানির মাধ্যমে প্রাণ গ্রুপ প্রায় তিন কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
মঙ্গলবার (১১ জুন) চট্টগ্রাম বন্দরের একটি ইয়ার্ডে কনটেইনারগুলোর কায়িক পরীক্ষা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার সাধন কুমার কুণ্ডু সারাবাংলাকে জানান, দুবাই থেকে প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের নামে ৩০টি কনটেইনারের চালান গত ২৬ মে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ওইদিনই চালান খালাসের জন্য নথিপত্র জমা দেয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
চালানে পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ডলার মূল্যের ৫১০ মেট্টিক টন প্লাস্টিক দানা আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশি টাকায় এর দাম প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।
সাধন কুমার কুণ্ডু সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের সরকারি বন্ধের সময় ৬ জুন রাতে তারা কনটেইনার খালাসের চেষ্টা করে। এ সময় আমরা গিয়ে দুটি কনটেইনার খুলে সিমেন্টের বস্তা দেখতে পাই। আমরা ৩০টি কনটেইনার লক করে সেগুলোর খালাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিই। ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার দুইদিনে কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করি।’
কাস্টমসের কর্মকর্তা জানান, ৩০টি কনটেইনার খুলে দেখা যায়, চালানটিতে রয়েছে সৌদিআরবের জেবেল আলী ব্র্যান্ডের সিমেন্টের বস্তা। প্রতিটি বস্তায় আছে ৫০ কেজি সিমেন্ট। একটি কনটেইনারে এসেছে ৩৪০টি করে বস্তা। ৩০টি কনটেইনারে ১০ হাজার ২৫০টি বস্তায় মোট সিমেন্ট এসেছে ৫১০ মেট্রিকটন।
কাস্টমসের এ কর্মকর্তা জানান, প্লাস্টিক দানার শুল্ককর ৩২ শতাংশ। আর সিমেন্টের শুল্ককর ৯১ শতাংশ। আমদানিকারক প্লাস্টিকের দানা হিসেবে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা শুল্ক দিয়েছিল। সিমেন্টের হিসেবে শুল্ক আসে প্রায় ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
সাধন কুমার কুণ্ডু আরও জানান, চালানটির খালাস স্থগিত করা হয়েছে। আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মামলা হবে। আর সিমেন্টের রাসায়নিক পরীক্ষা করা হবে।
সারাবাংলা/আরডি/একে