ঢাকা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোটরসাইকেলচালক আলমগীরের সহযোগী ও আদাবর থানা যুবলীগ কর্মী হিমন রহমান শিকদারকে (৩২) আবাসিক হোটেল থেকে বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. জুয়েল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আদাবরের আবাসিক হোটেলে (রাজ্জাক হোটেল) অভিযান চালিয়ে যুবলীগ কর্মী হিমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হিমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন।’
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘বুধবার দুপুর ২টার দিকে হিমনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগী মেহেদির আদাবর থানাধীন বাইতুল আমান হাউজিং এলাকার বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড তাজা গুলি, আতশবাজি, পটকা, বারুদ ও ককটেল তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হিমন রহমান শিকদার ও তার সহযোগী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছিল।’
এর আগে, তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ওসমান হাদি মতিঝিল এলাকায় নির্বাচনি প্রচার শেষ করে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে মোটরসাইকেল আরোহী ফয়সাল তার মাথায় গুলি করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে গত ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের ১৪ ডিসেম্বর পল্টন থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তদন্তাধীন রয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও মুল অভিযুক্তকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।