ফেনীর এডিসি-এসপি-ওসিসহ ৫ জনের শাস্তির সুপারিশ
১ মে ২০১৯ ১২:০১
ঢাকা: ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এনামুল করিম, এসপি এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল, মো. ইউসুফের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পুলিশ সদর দফতরের উচ্চপর্যায়ের কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
বুধবার (১ মে) পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, নুসরাত হত্যার রহস্য উদঘাটন ও পুলিশের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে জানতে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সোনাগাজী থানা থেকে প্রত্যাহার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট ৪০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নুসরাত হত্যার তদন্তে গঠিত পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের উচ্চপর্যায়ের কমিটি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এডিসি ও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে গাফিলতির প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল নুসরাতকে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত। ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা হয়। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে নুসরাত হত্যার ঘটনায় সোনাগাজী মডেল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ ১৬ জন জড়িত। এর মধ্যে নুসরাতের শরীরে আগুন দেওয়ার সময় চারজন সরাসরি অংশ নেন। কারাগার থেকে নুসরাতকে হত্যার নির্দেশ দেন মাদরাসার অধ্যক্ষ।
নুসরাত হত্যা মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ একাধিকজন আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে হত্যার দায় স্বীকার করে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
আগামী ২৭ মে আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেওয়ার দিন ধার্য রয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে