Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পেশা যখন গাড়ির নকল কাগজপত্র তৈরি


৮ মে ২০১৯ ১৪:২২

প্রতারকচক্রের সদস্যরা

ঢাকা: বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) রুট পারমিট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেনসহ মোটরযানের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুতকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

এরা হলেন আব্দুল খালেক (৬৭), আনোয়ারুল হক শিমুল (৪২), আব্দুল জলিল (৬৪), আব্দুর রহিম (৩১) ও মোতালেব হোসেন (৫৮)। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১০ বছর ধরে কম টাকায় গাড়ির আসল কাগজপত্র তৈরির নাম করে সাধারণ মানুষকে নকল কাগজপত্র সরবরাহ করত। তাদের কারণে অসংখ্য মানুষের হাতে ভুয়া লাইসেন্স চলে গেছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন এসব তথ্য জানান।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গতকাল (৭ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর পুর্ব কাফরুল এলাকা থেকে ডিবি উত্তরের একটি দল প্রতারক চক্রের এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোটরযানের জাল রুট পারমিট ফরম, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন সনদপত্র, ফিটনেস সনদপত্র, ট্যাক্স টোকেন ফরম, বীমা ফরম, বীমা স্ট্যাম্প স্টিকার, ডকুমেন্ট প্রাপ্তি রশিদ, রেজিস্ট্রেশন আবেদন ফরম, বিআরটিএ অফিসের ১৫০টি ডিজিটাল নম্বর প্লেট জব্দ করা হয়।

প্রতারক চক্রের সদস্যরা চোরাই গাড়ি টার্গেট করত। টাকার বিনিময়ে তারা ওইসব গাড়ির কাগজপত্র তৈরি করে দিত। চোরাই গাড়ি ব্যতীত তারা যাদের টার্গেট করত, তাদের অধিকাংশই মফস্বলের সাধারণ মানুষ। ওইসব সাধারণ মানুষ হয়তো নিজেরাও জানেন না যে, তাদের কাছে যে গাড়ির নকল কাগজপত্র রয়েছে যা ভয়ানক ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন ডিবির এই কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, গাড়ি ও চালকের ধরন ও চাহিদাভেদে তারা বিভিন্ন অংকের অর্থের বিনিময়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের ন্যায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় জাল সার্টিফিকেট প্রস্তুত ও সরবরাহ করত। বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়্যারের সাহায্যে নকল এসব কাগজপত্র বানিয়ে নিজেরাই সিল স্বাক্ষর করে গ্রাহকদের সরবরাহ করত। গাড়িপ্রতি তারা ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আদায় করত। এক্ষেত্রে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছিল।

আনোয়ারুল হক শিশুল ও আব্দুল জলিল এর আগেও গ্রেফতার হয়েছিল। জামিনে বের হয়ে তারা জাল কাগজপত্র প্রস্তুতের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এর পেছনে আর কারা কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার কথা জানান ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আবদুল বাতেন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা বিআরটিএ’র কাউকে জড়িত থাকার প্রমাণ পাইনি। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। জিজ্ঞাসাবাদে অন্য কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর