ঢাকা: বাংলাদেশের ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেছেন, দেশে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে, একের পর এক তাজা প্রাণ চলে যাচ্ছে। কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টেলিভিশনের পর্দা থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে সরগরম থাকে এসব ইস্যুতে। প্রশাসন থেকে নেওয়া হয় নানান পদক্ষেপ, আবার সব চুপচাপ হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠে জনগনের মনে মৃত্যুর মিছিল কোথায় থামলে টনক নড়বে রাষ্ট্রের?
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) গুলশানে ন্যাপ চেয়াম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক শোকসভায় তিন এসব কথা বলেন। মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের এ শোকসভা আয়োজন করা হয়।
জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘দুর্ঘটনার ওপর মানুষের হাত নেই। তাই বলে এমন দুর্ঘটনা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না, যাতে বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে যাওয়া শিশুরা ফিরে আসে লাশ হয়ে। একটি দুর্ঘটনায় এত বেশি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা বিরল। এ ঘটনায় কেবল স্বজনহারা পরিবার নয়, পুরো বাংলাদেশ শোকাহত।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রসহ আমাদের সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। যাতে করে আর কোনো শিশু-কিশোর অকালে ঝরে না যায়। মৃতের কোনো ক্ষতিপূরণ হয় না। যারা স্বজন হারিয়েছেন কোনো প্রতিদানই তাদের শোক ভোলাবে না। তবুও সরকারকে শিশু হারানো পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ঝলসে যাওয়ারা যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন রাষ্ট্রকে তাদের পাশে থাকতে হবে।’
জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনীর যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্তেরর ঘটনাটি কীভাবে ঘটল, সরকারকে তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। এটা কি নিছক দুঃঘর্টনা, নাকি ষড়যন্ত্র? প্রয়োজনে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে।’
শোকসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, আতিকুল ইসলাম, এহসানুল হক জসিম, অর্থ সম্পাদক শ্রী প্রদ্যুৎ রায়, ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, মো. সুমন মিঞা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল আলম শাহীন, উপ-প্রচার সম্পাদক রবিউল আওয়াল কনক, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামরুল হাসান ফরিদ, জাহিদুল ইসলামসহ আরও অনেকে।