Friday 12 Dec 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্রাকসু নির্বাচনে ফের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৪:৩০ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৬

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচন-২০২৫-এ বারবার তফসিল পরিবর্তনকে ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা ও প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শাহজামান।

শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রধান কমিশনার পদ থেকে তৃতীয়বারের মতো পদত্যাগের ঘটনা ঘটল। এর ফলে ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে নতুন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে, এবং শিক্ষার্থীরা এটিকে প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে সমালোচনা করছেন।

বিজ্ঞাপন

পদত্যাগপত্রে ড. শাহজামান উল্লেখ করেন, গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ১১৭তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মনোনীত করা হয়। দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করে ২৫ নভেম্বর তিনি অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা মঞ্জুর করেনি। প্রশাসনের অনুরোধে ৩০ নভেম্বর থেকে তিনি পুনরায় দায়িত্ব পালন শুরু করেন। তবে ভোটার তালিকা হালনাগাদে প্রশাসনের সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতে কমিশন তিনবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে এবং দুবার তফসিল পরিবর্তন করে। এই বারবার পরিবর্তনকে তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা বলে অভিহিত করেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনের তারিখ, ডোপ টেস্ট এবং শীতকালীন ছুটি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং কমিশনের সঙ্গে অশালীন আচরণ কমিশনের নিরপেক্ষ কার্যক্রমে অন্তরায় হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে পদত্যাগ করছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. ফেরদৌস রহমান দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করেন। পরে ড. শাহজামানকে নিয়োগ দেওয়া হয়, কিন্তু তিনি ২৬ নভেম্বর পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ১ ডিসেম্বর তিনি পদত্যাগ প্রত্যাহার করে পুনরায় দায়িত্ব নেন, কিন্তু এখন আবার সরে দাঁড়িয়েছেন। এই বারবার পদত্যাগ-পুনর্বহালকে শিক্ষার্থীরা ‘নাটকীয় কর্মকাণ্ড’ বলে সমালোচনা করছেন এবং ফেসবুকে হাস্যরসের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তারা প্রশাসনকে ব্যর্থ বলে অভিহিত করছেন এবং শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন।

নির্বাচনের তফসিলও বারবার পরিবর্তিত হয়েছে। গত ১৮ নভেম্বর প্রথম তফসিলে ভোটগ্রহণ ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারিত ছিল। ২০ নভেম্বর তা পরিবর্তন করে ২৪ ডিসেম্বর করা হয়। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ-জমাদানের তারিখ পরিবর্তন করা হয়। সর্বশেষ ১০ ডিসেম্বর ভোটার তালিকার ত্রুটির কারণে নির্বাচন স্থগিত করে নতুন তফসিল ঘোষণা করা হয়, যেখানে ভোটগ্রহণ ২১ জানুয়ারি ২০২৬ নির্ধারিত। এই জটিলতার মধ্যে শীতকালীন ছুটি এবং প্রথম সমাবর্তনের তারিখও প্রভাবিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে নতুন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আজ নরসিংদী হানাদার মুক্ত দিবস
১২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর