সাংবাদিকতা ছেড়ে ডাকসুর জিএস-প্রার্থী আসিফুর রহমান
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:৩৫
।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাবি: সাংবাদিকতা পেশা থেকে অব্যাহতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী এ আর এম আসিফুর রহমান।বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বতন্ত্র হিসেবে নিজের প্রার্থীতার ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসিফুর বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে নিকট অতীতের জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের শঙ্কিত করে তুলছে। শুধু নিকট অতীতই নয়, ডাকসু নির্বাচনের বন্ধ্যাত্বকালীন গত তিন দশকের নির্বাচনগুলোর বেশিরভাগই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।’
আসিফুর আরও বলেন, ‘১১ মার্চ ডাকসুতেও এরকম একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের মতো নির্বাচন ডাকসুতে চাই না। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি প্রশাসন ১১ মার্চ একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে, তবে আমি আসিফুর রহমান জিএস পদে জয় নিয়ে ফিরব।’
তিনি বলেন, ‘আজ যারা শিক্ষার্থীদের কথা বলেন, তারা বিভক্ত। নানা দলীয় রাজনৈতিক বৃত্তে আবদ্ধ হয়ে আছে শিক্ষার্থীদের স্বপ্নের ডাকসু। সে বিষয়ে শঙ্কার কথা মাথায় রেখেই আমি ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’
শিক্ষার্থীদের পক্ষের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসিফুর রহমান বলেন, ‘একই ধরনের দাবি থাকা সত্ত্বেও এখন ক্ষমতার লড়াইয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলার শক্তিগুলো বিচ্ছিন্ন। ঐক্যবদ্ধ শক্তিই পারে একটি কাঠামোকে ভেঙে নতুন কাঠামোর জন্য কাজ করতে।’
লিখিত বক্তব্যের বাইরে তিনি বলেন, ‘ডাকসুর জিএস পদে আমি স্বতন্ত্র নির্বাচন করছি। কারো সঙ্গে কোনো ধরনের জোট হয়নি। যদি কোনো জোট হয়, তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, আসিফুর রহমান এতদিন দৈনিক প্রথম আলোতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ২৫ তারিখে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। তিনি বলেন, ‘আমার সাবেক কর্মস্থল প্রথম আলোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
একইসঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি সাংবাদিক সমিতির পরিচয় দেননি জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। দলীয় বা সংগঠনের পরিচয় ব্যবহার করিনি। আমি চাই একটি সুষ্ঠু ডাকসু নির্বাচন হোক। আর সেজন্যই আমি মাঠে নেমেছি।’
সারাবাংলা/কেকে/এমএইচ