Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন দিয়ে চলছে চবির প্রশাসনিক কাজ


২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:১৪ | আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:০৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)’র৭টি অনুষদের ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও নির্বাচন দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যার ফলে মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন দিয়ে চলছে বিভিন্ন অনুষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম। চার মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন না হওয়ায় কবে নাগাদ নির্বাচন হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে দ্রুত এ ডিন নির্বাচন হবে এমনটিই প্রত্যাশা করছেন শিক্ষকদের সংগঠনগুলো।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৭টি অনুষদে ডিনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও নির্বাচন না দেয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ ডিন দিয়ে চলছে বিভিন্ন অনুষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম। দুই বছর মেয়াদী ডিন পর্ষদ। সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ২জানুয়ারি। এতে হলুদ দল নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এই নির্বাচনে হলুদ দলের মনোনিত ৪টি অনুষদের ডিন টানা দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হন। তারা হলেন, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের অধ্যাপক ড.সেকান্দর চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদে অধ্যাপক ড. শংকর লাল সাহা, জীব বিজ্ঞান অনুষদে অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে অধ্যাপক ড. আওরঙ্গজেব।

বিজ্ঞাপন

ডিন নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী-বামপন্থি সমর্থিত (হলুদ দল) আহ্বায়ক সুলতান আহমদ সারাবাংলাকে বলেন,‘ জাতীয় নির্বাচনের কারণে ডিন নির্বাচন দেয়া সম্ভব হয়নি। উপাচার্য মহোদয় যখনই চাইবেন তখন নির্বাচন হবে। এই ব্যাপারে উপাচার্য ভালো বলতে পারবেন। আমরা আশাবাদী শিগগিরই ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এস এম নছরুল কদির সারাবাংলাকে বলেন, ‘কেন ডিন নির্বাচন দিচ্ছে না, তা জানিনা। উপাচার্য মহোদয়কে বলেছি, নির্বাচন দিয়ে দেয়ার জন্য। আমরা আশাবাদী ডিন নির্বাচন হয়ে যাবে।’

যে কোন পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন দিলে ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মানুযায়ী প্রত্যেকটা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিদ্রুত নির্বাচন দেওয়া হোক।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা ও ভর্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ এবং জাতীয় নির্বাচনের জন্য ডিন নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হয়েছিল। ভর্তি পরীক্ষার সময় ডিনরা বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিল। একইসাথে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় সকল অনুষদের ডিনরা বিভিন্ন কাজে জড়িত ছিল। এখন পূর্ণাঙ্গভাবে ভর্তি রীক্ষা, ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। তাদের অ্যাডজাস্টমেন্ট জমা দিবে। আর যারা নতুন ডিন প্রার্থী আসবে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে। তারাও অ্যাডজাস্টমেন্ট জমা দিবে। অ্যাডজাস্টমেন্ট জমা দেয়ার পরে আশাকরি ঈদের পর যথাসময়ে ডিন নির্বাচন দিতে পারব।’

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ডিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ২জানুয়ারি। এসময় ৭টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী পন্থী ও বামপন্থীদের শিক্ষকদের সংগঠন (হলুদ দল)। ভরাডুবি হয় বিএনপি-জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের (সাদা দল)। এসময় ডিন নির্বাচনে বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল) সবকটি অনুষদে জয় পেয়েছে। আইন অনুষদে একক প্রার্থী থাকায় অধ্যাপক ড. এবিএম আবু নোমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ডিন নির্বাচিত হন।

সারাবাংলা/সিসি/এজেকে/এমএইচ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর