Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবির ছাত্রী হলে শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় সাদা দলের নিন্দা


৯ জানুয়ারি ২০২০ ০২:০৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হলে আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীনকে ছাত্রলীগ নেত্রীদের লাঞ্ছনা ও মারধরের ঘটনায় নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’।

বুধবার (৮ জানুয়ারী) সাদা দলের দুই শতাধিক শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত রোববার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীনকে চুল ধরে টানাটানির মাধ্যমে লাঞ্ছিত ও মারধর করে হল শাখার ছাত্রলীগ নেত্রীরা। এ ঘটনায় আমরা গভীরভাগে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

এতে বলা হয়, শুধু ড. জোবাইদা নাসরীনই নয় বরং গত এক যুগে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে লক্ষ্য
করেছি যে, এ ধরণের কোনো ঘটনায়ই দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে এসব সন্ত্রাসীরা শুধু ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েই ক্ষান্ত থাকছে না, শিক্ষকদের প্রহার ও লাঞ্ছিত করার দুঃসাহসও দেখাচ্ছে।

বিবৃতিতে সাদা দলের শিক্ষকরা এধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বলেন, এধরণের সন্ত্রাসী তৎপরতা আমারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা দ্রুত ড. জোবাইদা নাসরীনকে লাঞ্ছিত ও প্রহারের ঘটনায় জড়িত চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিরও দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতির বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি আজ জেনেছি।এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আজকে আমরা সাদা দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছি।সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা সাদা দলের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে কর্মসূচি পালন করবো।

সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম এবং যুগ্ম আহ্বায়কদ্বয় অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তার আলী, মো. আল আমিন, ড. এএসএম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মো. মেহেদী মাসুদ, ড. নূরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ মহিউদ্দিন, ড. মো. গোলাম রব্বানী, ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. মো: আবদুর রশীদ, অধ্যাপক আহমেদ জামাল আনোয়ার, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. কামরুজ্জামান, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, ড. হায়দার আলী, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়ুয়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার টফি, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মো. আতাউর রহমান মিয়াজী, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মোঃ হাসান উজ্জামান, ড. মহব্বত আলী, ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, ড. গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ দাউদ খান, মো. মেহেদী হাসান খানসহ শহ দুই শতাধিক শিক্ষক।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর