পদোন্নতির দাবিতে হাবিপ্রবি কর্মকর্তাদের আন্দোলন অব্যাহত
২০ জানুয়ারি ২০২০ ০৫:১৯
দিনাজপুর: রিজেন্ট বোর্ডের সুপারিশের পরও পদোন্নতি-পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়ন না করায় আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
দাবি আদায়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) মানববন্ধন, কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন আন্দোলন কারীরা। এ সময় তারা অবিলম্বে তাদের দাবী পূরণ না হলে বৃহত্ত্বর আন্দোলনে যাবে বলেও হুশিয়ারি দেন।
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা সংক্রান্ত প্রবিধান বিষয়ে ২০১৮ সালে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড.এ.কে.এম. নুর-উন-নবী, মাওলানা ভাষানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড.মো.আলাউদ্দীন, দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মো. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড.ফাহিমা খানম ও প্রফেসর প্রফেসর ড. মো.শাহাদৎ হোসেন খানকে সংযুক্ত করা হয়। এই কমিটি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতির দেয়ার কথা জানিয়ে যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে।
কিন্তু বিশ্বাবদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কমিটির সুপারিশ আমলে না নিয়ে ফের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। এ রূপ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন তারা।
‘প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম’এর সহসভাপতি অধ্যাপক ড. এটিএম শরিফুল ইসলাম বলেন, বিশ্বদ্যিালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম সবকিছুই বিভাজন করে রেখেছেন। তার পছন্দের অনেকের ক্ষেত্রে আইন আর নীতিমালা মানা হচ্ছে না। যা খুশি তা করছেন তিনি। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের সুপারিশ প্রাপ্তির পরও সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন নীতিমালা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর একটা সুরাহা হওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে শিক্ষাঙ্গণে। প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
আন্দোলনরত হারিসুল ইসলাম, শাহীন পারভেজ, কানিজ পারভীন, মোতালেব হোসেন, রফিকুল ইসলামসহ অনেকের অভিযোগ, তাদের নিয়ে টাল-বাহানা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে আরো তিনটি কমিটি গঠন হয়েছে। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়নে প্রথম কমিটির দেওয়া সুপারিশ তারা বাস্তবায়ন করছেন না। এটা নিয়ে টাল-বাহানা শুরু করায় আন্দোলনে নেমেছে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তারা অব্যাহত রেখেছে, মানববন্ধন, কলম বিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি। অবিলম্বে তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।
তবে বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ ছাড়া পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন সম্ভব নয়। অনুমতি পেলে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন দেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি/পর্যায়োন্নয়ন বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।