চবি সাংবাদিকতা বিভাগের আলোচনায় মাল্টিমিডিয়া, মাল্টিটাস্কিংয়ে জোর
২০ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৩৬
সাংবাদিকতার পরিবর্তিত ধারার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে সাংবাদিকতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সাংবাদিকতার বিদ্যায়তনিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক চর্চার সমন্বয় ঘটাতে হবে। নয়া তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাবে সাংবাদিকতার ধরণ বদলে যাচ্ছে বিধায় সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদের জানতে হবে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম, শিখতে হবে মাল্টিটাস্কিং।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উদ্যোগে এবং জার্মানির ডয়েচে ভেলে একাডেমির সহযোগিতায় রবিবার (১৯ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জাতীয় পর্যায়ের সিনিয়র সাংবাদিকরা অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে মিডিয়ার ধরন পাল্টে গেছে। ট্রেডিশনাল মিডিয়াগুলো কোনও না কোনওভাবে রিফর্মড হচ্ছে, চলছে ডিজিটাল মিডিয়ার জয়জয়কার। এ অবস্থায় সাংবাদিকতার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাক্রমেও আনতে হবে পরিবর্তন। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভবিষ্যত সাংবাদিক হিসেবে তৈরি করে শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে পাঠাতে পারে।
দ্য ডেইলি স্টার’র নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক, রেডিও ভূমির স্টেশন হেড ও অভিনেতা শামস সুমন এবং সারাবাংলা.নেট’র নির্বাহী সম্পাদক মাহমুদ মেনন অতিথি বক্তা হিসেবে এতে অংশ নেন। তারা বক্তব্যে, জাতীয় পর্যায়ে সংবাদমাধ্যমগুলোতে যোগ্য কর্মীর অভাবের দিকগুলো তুলে ধরেন এবং সে ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকার ওপর জোর দেন। সময়ের প্রয়োজনে সাহসী সংবাদকর্মী তৈরির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বিভাগের সভাপতি মো. শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আ-আল মামুন এবং ডয়েচে ভেলে একাডেমির বাংলাদেশ কনসালটেন্ট লুৎফা আহমেদ।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমান, ফারজানা করিম, মাধব চন্দ্র দাস, মো. আসাদুজ্জামান ও সুবর্ণা মজুমদার।
সারাবাংলা/এমএম