জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজ ২০২৬ সালে শেষ হবে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৬
জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত প্রকল্প পরিচালক (পিডি) লে. কর্নেল ইফতেখার আলম।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রকল্প পরিচালক ইফতেখার আলম বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে প্রথম ধাপের কাজ ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে। তবে আমরা এর আগেই শেষ করার চেষ্টা করবো। দ্বিতীয় ধাপের কাজের পরিকল্পনাও চলবে, তবে এর দৃশ্যমান কাজ ২০২৬ সালের পরই শুরু করা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম ধাপের কাজের মধ্যে রয়েছে ক্যাম্পাসে বালি ভরাট করা, একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন তৈরি এবং একটা বেসক্যাম্প তৈরি করা। যেন দ্বিতীয় ধাপের কাজ পরিচালনা করা যায়।’
শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসন সংকট নিরসনের জন্য স্টিলের স্ট্রাকচার বিষয়ে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি হল (বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হল) হল দুইটির স্থান এমন জায়গায় যে এখানে স্টিল স্ট্রাকচারের কাজ চালানোর জন্য যে ক্রেন আনা দরকার সেটা সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। কারণ সেখানে রাস্তাগুলো ১৪ থেকে ২২ ফুটের মধ্যে। এখানে স্টিলের স্ট্রাকচারের পরিবর্তে কংক্রিটের স্থাপনা নির্মাণ বেশি টেকসই হবে। তাছাড়া স্টিল স্ট্রাকচার সময়সাপেক্ষ। স্থানীয় কমিউনিটির কিছু আপত্তি এসেছে, যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।”
শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা এডিসি পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কী পরিমাণ ভোগান্তি হয় তা আমরা জানি। আমরা চেষ্টা করছি আইনগত কাঠামোর মধ্যে কিভাবে ফ্যাসিলিটেট করা যায়। আইনগতভাবে স্থায়ী কাঠামো করার সুযোগ নাই। স্ট্রাকচারের বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই দ্বিতীয় ধাপের পরিকল্পনা হবে। দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপে একটি ছাত্রহল অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যদি বাণী ভবন ও হাবিবুর রহমান হলের নির্মাণে দেরি হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ৭ একর জমিতে বালু ভরাট করে অস্থায়ীভাবে ছাত্রদের থাকার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া যেতে পারে।’
এ সময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যবৃন্দ, প্রক্টর, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসআর