ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক কমানোয় বাংলাদেশের পোশাক উদ্যোক্তারা খুশি হয়েছে। তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। ১৫ শতাংশ কমিয়ে বাংলাদেশের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিকারক স্প্যারো গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শোভন ইসলাম।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
শোভন ইসলাম বলেন, ‘আমরা খুশি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পোশাকের ওপর দ্বিপাক্ষিক শুল্ক ২০ শতাংশ এ কমিয়েছে, যা আগের ৩৫ শতাংশ থেকে কমেছে। যদিও এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। ২০ শতাংশ এখনো উচ্চ এবং মোট কার্যকর শুল্ক প্রায় ৩৫ শতাংশ হওয়ায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
তিনি বলেন, ‘ভারত, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে এই সমানতা আমাদের প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতিকে কিছুটা সুবিন্যস্ত করেছে, তবে আমাদের ডিজাইন ইনোভেশন, উৎপাদন দক্ষতা, শিল্পায়ন এবং পণ্য বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বাড়াতে হবে।’
শোভন ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা মার্কিন ক্রেতাদের সঙ্গে এই অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছি, বিশেষ করে ৩১ জুলাই থেকে বন্ধ থাকা শিপমেন্টের জন্য। অনেক অংশীদার আগের হ্রাসের পরে ইতোমধ্যে ডিসকাউন্ট দিয়েছেন এবং আমরা ইতিবাচক সমাধানের আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘শিল্পের প্রবৃদ্ধি শুধুই শুল্ক কমাতে নয়, সরকারের সমর্থনেও নির্ভর করে। যেমন: গ্যাস ও বিদ্যুতের স্বল্পতা, অবকাঠামো সমস্যা, দুর্নীতি, বন্দরে জটিলতা, ব্যাংকিং সমস্যা ও বিভিন্ন নীতিগত বাধা।’
পোশাক খাতের এই উদ্যোক্তা আরও বলেন, ‘সঠিক পরিবেশ ও অব্যাহত উদ্ভাবনের মাধ্যমে, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প শুধুমাত্র বর্তমান শুল্কের চাপ কাটিয়ে উঠবে না, বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য বাজারে তার শেয়ার বৃদ্ধি করবে।’