ঢাকা: পুঁজিবাজারে মূলধন উত্তোলনে বা আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে এখন থেকে প্রাথমিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক একচেঞ্জ সুপারিশ করবে। স্টক একচেঞ্জের সুপারিশের ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। স্টক একচেঞ্জকে আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে নতুন পাবলিক ইস্যু রুলসের খসড়া অনুমোদন করেছে বিএসইসি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিএসইসির কমিশন সভায় এই খসড়া অনুমোদন করা হয়। বিএসইসি’র চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এর সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কমিশনের মুখপাত্র ও পরিচালক আবুল কালামের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সভায় পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সুপারিশসমূহ বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস ২০২৫ রহিত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক অফারিং অব ইক্যুইটি সিকিউরিটিজ) রুলস, ২০২৫ এর খসড়া অনুমোদন করেছে। খসড়াটি জনমত যাচাইয়ের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইট ও পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ইস্যু রুলস অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জের সুপারিশের ভিত্তিতে বিএসইসি আইপিও’র চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবে। এছাড়া প্রস্তাবিত নতুন রুলসটিতে আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক করার পাশাপাশি ইস্যুয়ার কোম্পানিসমূহে কর্পোরেট গভর্নেন্স, নিরীক্ষক ও ইস্যু ম্যানেজারদের দায়দায়িত্ব ও ভূমিকা বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে তাদের জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতাও বৃদ্ধি পাবে।
বিএসইসি আরও জানিয়েছে, নতুন রুলস বা আইনের মাধ্যমে আইপিও ভ্যালুয়েশন বা প্রাইসিং এর উন্নয়ন হবে যা ন্যায্য প্রাইসিং নিশ্চিত করবে। ন্যায্য প্রাইসিং নিশ্চিত হওয়ার ফলে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানীসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহী হবে বলে বিএসইসি’র প্রত্যাশা।