Thursday 16 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এআই-ভিত্তিক ক্রেডিট স্কোরিং ঋণ বিতরণ করল প্রিয়শপ ও কমিউনিটি ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫৭

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এমএসএমই) জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর বিকল্প ক্রেডিট স্কোরিং ঋণ বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ এবং কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ঋণ বিতরণের এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রিয়শপের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রিয়শপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আশিকুল আলম খান, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (সিএমও) দীপ্তি মণ্ডল, কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাদাতসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

এই অত্যাধুনিক উদ্যোগ দেশের প্রায় ৫০ লাখ অবহেলিত মুদি দোকানির জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করছে—যা ছোট খুচরা ব্যবসায়ীদের কর্মক্ষম মূলধনে সহজ, দ্রুত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে।

নতুন এ মডেলের মাধ্যমে সহজ ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে উদ্যোক্তারা ১ থেকে ৩ মাস মেয়াদের স্বল্পমেয়াদি ঋণ নিতে পারবেন। ঋণ অনুমোদনে ব্যবহৃত হবে গ্রাহকের ডেমোগ্রাফিক তথ্য, ক্রয় ইতিহাস, সাইকোমেট্রিক প্রোফাইল ও আচরণগত বিশ্লেষণসহ একাধিক উপাত্ত। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ক্রেডিট স্কোর তৈরি হবে। উদ্যোক্তারা এই ঋণ ব্যবহার করে পণ্যের মজুদ বাড়াতে, ব্যবসার পরিধি সম্প্রসারণে এবং আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারবেন।

প্রিয়শপের সিইও আশিকুল আলম খান বলেন, “খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন আমাদের অর্থনীতির ভার বহন করেন, অথচ তারাই সবচেয়ে বেশি সুবিধাবঞ্চিত। এই প্রথম এআই-নির্ভর ঋণ বিতরণের মাধ্যমে আমরা শুধু মূলধন উন্মোচন করছি না, আমরা ভবিষ্যতের পথও উন্মোচন করছি।”

কমিউনিটি ব্যাংকের এমডি কিমিয়া সাদাত বলেন, “প্রিয়শপের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব মুদি দোকানিদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রতি এক গভীর অঙ্গীকারের প্রতিফলন। প্রিয়শপের এআই প্রযুক্তি ও আমাদের আর্থিক সেবা একত্রে এমএসএমই খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে।”

এআই-চালিত ঋণের প্রথম গ্রহীতা মুদি দোকানি নজরুল ইসলাম বলেন, “ঋণ পাওয়া সব সময়ই দুঃস্বপ্নের মতো ছিল—অসংখ্য কাগজপত্র আর প্রত্যাখ্যান। আজ মাত্র কয়েক মিনিটেই ঋণ পেলাম। এখন সহজে পণ্য সংগ্রহ করতে পারব। মনে হচ্ছে, সিস্টেমটা অবশেষে আমাদের পক্ষেই কাজ করছে।”

প্রথম বছরেই এআই-চালিত ঋণ কর্মসূচির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ঋণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে, যা সরাসরি এমএসএমই খাতের ক্রয়ক্ষমতা, পণ্য সম্প্রসারণ ও লাভজনকতা বাড়াবে। কর্মক্ষম মূলধনে দ্রুত প্রবেশাধিকার প্রদানের মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাংলাদেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে এবং ২০০ বিলিয়ন ডলারের এমএসএমই অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এআই-ভিত্তিক বিকল্প ক্রেডিট স্কোরিং বাংলাদেশের আর্থিক খাতে উদ্ভাবনের নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। এটি শুধু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণপ্রাপ্তি সহজ করবে না, বরং একটি স্মার্ট, প্রযুক্তিনির্ভর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক পরিবেশ গড়ে তুলতেও ভূমিকা রাখবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমপি
বিজ্ঞাপন

পাবনায় ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৪১

আরো

সম্পর্কিত খবর