Wednesday 29 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইএমএফ প্রতিনিধি দল ঢাকায়, ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি পর্যালোচনায় আলোচনা শুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪৮ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫১

ঢাকা: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের আগে সংস্থাটির ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আইএমএফের বাংলাদেশ মিশন প্রধান ক্রিস পাপাগেওর্জিউ। তারা আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে অর্থসচিবের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে প্রতিনিধি দলের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর তারা অর্থ বিভাগের সামষ্টিক অর্থনীতি বিভাগের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। ঢাকায় অবস্থানকালে দলটি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করবে।

বিজ্ঞাপন

অর্থ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, রাজস্ব আদায় ছাড়া আইএমএফের দেওয়া বেশিরভাগ শর্তই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। প্রাথমিকভাবে আশা করা হচ্ছিল, ডিসেম্বরেই ষষ্ঠ কিস্তি ছাড় হবে। তবে চলতি অক্টোবরের শুরুতে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় সংস্থাটি জানায়, এ বছর আর কিস্তি ছাড় করা হবে না।

আইএমএফ জানিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকারের সঙ্গে সংস্কার কর্মসূচির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে পরবর্তী কিস্তি ছাড় করা হবে।

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পরের কিস্তি মার্চ বা এপ্রিলে আসতে পারে। এতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না, বরং দেশের জন্য ইতিবাচক হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ডলারের বিনিময় হার নিয়ে আইএমএফের আপত্তি রয়েছে। সংস্থাটির মতে, দেশে ডলারের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছে; প্রকৃত বিনিময় হারে এর দাম আরও বেশি হওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, ডলার ইতিমধ্যেই অতিমূল্যায়িত।

সূত্র আরও জানায়, আইএমএফ ষষ্ঠ কিস্তি স্থগিত রেখে ষষ্ঠ ও সপ্তম কিস্তি মিলিয়ে প্রায় ৮০ কোটি ডলার একসঙ্গে ছাড়তে পারে। এর আগে তৃতীয় কিস্তির পূর্বশর্ত পূরণে বিলম্বের কারণে তৃতীয় ও চতুর্থ কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করেছিল সংস্থাটি।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয়। এ বছরের জুনে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের পাশাপাশি ঋণের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৫০ কোটি ডলারে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৬০ কোটি ডলার।

আইএমএফের সূচি অনুযায়ী, চলমান পর্যালোচনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে আগামী ১৩ নভেম্বর।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর