১৪০ কি.মি বেগের রেলকোচ দেশে, ট্রায়াল সৈয়দপুরে
১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৩৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: সর্বাধুনিক ও ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতির ১৫টি হাইস্পিড রেলকোচ ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। দুই দিন আগে আসা কোচগুলো শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় আনা হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
এরপর কোচগুলো নেওয়া হবে সৈয়দপুর। সেখানে ট্রায়াল রান শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন রুটে যুক্ত করা হবে এগুলো।
বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) হারুনুর রশীদ সারাবাংলাকে জানান, ঢাকায় এনে ট্রলি স্থানান্তর করে রেলকোচগুলো সৈয়দপুর পৌঁছাতে আরও দুই দিন সময় লাগবে।
বর্তমানে দেশের ৩৩টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে কোনটিতেই এগুলোর মতো এত অত্যাধুনিক সুবিধার রেলকোচ নেই বলে জানান এই রেল প্রকৌশলী।
তিনি জানান, রেলের এই কোচগুলো প্রতি মিনিটে প্রায় আড়াই কিলোমিটার (২.৩৩ কিলোমিটার) গতিতে চলতে সক্ষম। আসনগুলো বেশ আরামদায়ক।
এছাড়া, এবারে আনা কোচগুলোতে প্রথমবারের মত বায়োটয়লেট যুক্ত থাকছে। এতদিন ট্রেনের টয়লেট থেকে বর্জ্য সরাসরি রেললাইনের ওপর পড়ত। এখন থেকে প্লেনের মত বায়ো-টয়লেট পদ্ধতি থাকবে এসব কোচে। যাতে রেললাইনে পড়বে না ময়লা। পরে এগুলো বিশেষ পদ্ধতিতে সরানো হবে। এ ব্যবস্থায় ট্রেনগুলো ব্যাকটেরিয়া ও দূষণমুক্ত থাকবে।
নতুন বগি কেনার প্রকল্প সূত্র জানায়, রেলে যুক্ত করার জন্য ব্রডগেজ ও মিটারগেজ উভয় ধরনের কোচ কেনা হচ্ছে। যেখানে ২০০টি মিটারগেজ কোচে খরচ ধরা হয়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। আর ৫০টি ব্রডগেজ কোচ কেনার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৩ কোটি টাকা। প্রতিটি কোচের আমদানিমূল্য ৫ কোটি টাকা। এই ৫০ টির মধ্যে ১৫ টি দেশে এসেছে।
হারুনুর রশীদ আরও জানান, এরপর আরও দুটি শিপমেন্টে মোট ৫০টি ব্রডগেজ রেলকোচ আসবে। এরপরে আরও ৯টি শিপমেন্টে আসতে থাকবে ২০০ টি মিটারগেজ কোচ।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পিটি ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি (ইনকা) এসব কোচ তৈরি করেছে। সেখান থেকে জাহাজে এগুলো চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগ জানায়, সবচেয়ে পুরাতন ব্রডগেজ রেলকোচ যেসব ট্রেনে আছে সেখানে নতুন কোচগুলো প্রতিস্থাপন করা হবে। আর সব শিপমেন্ট পেলে আরও নতুন দুয়েকটি ট্রেন চালু হতে পারে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সৈয়দপুর নেওয়ার পর ক্রেন দিয়ে ব্রডগেজ বগির ওপর কোচগুলো স্থাপন করে সৈয়দপুর নেওয়া হবে। সেখানে যাচাই-বাছাই শেষে দুই ধাপে ট্রায়াল রান দেওয়া হবে। দুই থেকে তিনমাসের মধ্যে কোচগুলো ট্রেন চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএ/এনএইচ