পদ্মাসেতুর পাটাতনে সড়ক নির্মাণ শুরু, বসেছে প্রথম স্ল্যাব
১৯ মার্চ ২০১৯ ১২:৪৫
ঢাকা: স্বপ্নের পদ্মাসেতুতে এবার শুরু হয়েছে সড়ক পথ নির্মাণ কাজ। সেতুর যে স্প্যানগুলো এরই মধ্যে বসে গেছে তার উপরের পাটাতনে সড়ক পথের জন্য স্ল্যাব বসানো শুরু হয়েছে।
এর আগে সেতুর নিচের পাটাতনে রেল লাইনের স্ল্যাব বসানো শুরু হলেও সড়ক পথের স্ল্যাব বসানো শুরু হলো এবার। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে পদ্মাসেতুর জাজিরা প্রান্তে বসানো সবশেষ পিলারের উপর সড়ক স্ল্যাব বসানো হয়।
সেতু নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ৪২ নম্বর পিলারের গোড়ায় প্রথম স্ল্যাবটি বসানো সফলভাবে শেষ করেছেন প্রকৌশলীরা। এর মধ্য দিয়ে এই প্রথম দৃশ্যমান হলো চারলেন সড়ক পথের একাংশ।
পদ্মাসেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ জানায়, এমন মোট ২ হাজার ৯৩২ টি স্ল্যাবে পদ্মাসেতুর উপর তৈরি হবে সড়ক পথ। যা বিস্তৃত হবে পুরো সোয়া ছয় কিলোমিটার পর্যন্ত।
সেতু সংশ্লিষ্টরা সারাবাংলাকে জানান, এ পর্যন্ত ৫’শটিরও বেশি স্লাব তৈরি করে মাওয়া কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে স্ল্যাবগুলো নিয়ে জাজিরা প্রান্ত থেকে বসানো শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে পদ্মাসেতুর মোট ৮টি স্প্যান বসানো শেষ হয়েছে। যার ৭টি একটানা বসেছে জাজিরা পয়েন্টে। দুই-এক দিনের মধ্যেই এই পয়েন্টে বসবে আরও একটি স্প্যান। ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানগুলো মিলিয়ে পদ্মাসেতুর ১.২ কিলোমিটার এরই মধ্যে দৃশ্যমান। নবম স্প্যানটি বসলে তা ১ কিলোমিটার ৩৫০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
ক্রেনে উঠেছে পদ্মাসেতুর নবম স্প্যান
নবম স্প্যানটি বসানো হলে জাজিরা অংশে পদ্মাসেতু এগিয়ে যাবে ১.২ কিলোমিটার পর্যন্ত। এই অংশে রেল লাইনের স্ল্যাব বসতে শুরু করেছে আরও আগেই। এবার সেখানে সড়কপথের স্ল্যাব বসতে শুরু করলো।
এগিয়ে চলেছে রেলপথের কাজও
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ছয় কিলোমিটর সেতুতে রেলওয়ে স্লাব বসবে ২৯৫৯ টি। যার মধ্যে ১৫২০ টি স্লাব তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। যার মধ্যে ১৯২ টি স্লাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।
পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়েছিল চার বছর আগে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা গত বছরের ডিসেম্বরে থাকলেও প্রকৃতির প্রতিকূলতায় তা কিছুটা পিছিয়েছে। বর্তমান হিসাব মতে ২০২০ সালের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে পদ্মাসেতু।
পদ্মাসেতু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর সবচেয়ে বড় কোনো নির্মাণ কাঠামো। যার নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
সারাবাংলা/এসএ/এমএম