Thursday 03 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিশ্বে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ১৭ শতাংশ


১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:৫৪ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০৪:০৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: বর্তমানে বিশ্বে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ১৭ শতাংশ বলে এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। আর শহরে এই দারিদ্র্যের হার ৭ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘গ্লোবাল ফুড পলিসি রিপোর্ট-২০১৯’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করনে আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইফরি) এর মহাপরিচালক ড. সিনজেন ফ্যান।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে গ্রামীণ পরিবেশ হুমকির মুখে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, বনাঞ্চল ধ্বংস ও ভূমিধ্বসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগই এর প্রধান কারণ। গ্রামের পুনরজ্জীবনকে ত্বরান্বিত করার বিষয়ে প্রতিবেদনে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রামের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। প্রাধান্য দিতে হবে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে। একই সঙ্গে কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও আধুনিক-বাণিজ্যিক কৃষি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সর্বোপরি গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে গ্রামের মানুষের আয়ের সংস্থান করতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার ছিল ‘আমার গ্রাম আমার শহর’, অর্থাৎ প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। আমাদের উন্নয়ন চিন্তায় আমরা গ্রামকে প্রাধান্য দিয়েছি।

তিনি বলেন, শহরের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামেও নিশ্চিত করা হবে। দ্রুতই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে, যেখানে বর্তমানে ৬০ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে সকল গ্রামকে জেলা ও উপজেলা শহরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য জেলা-উপজেলায় কলকারখানা গড়ে তোলা হবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত অধিকাংশ মানুষই গ্রামাঞ্চলে বসবাস করেন। সেখানে নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি, মৌলিক প্রয়োজনগুলোর অভাব রয়েছে। গ্রামের কৃষকই শহরের মানুষের খাদ্য সরবরাহ করে থাকে। সেই কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আর কৃষককে বাঁচাতে হলে কৃষি পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হচ্ছে আধুনিক ও বাণিজ্যিক কৃষি। সেলক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করছে। উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে কৃষিকে অবশ্যই বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম । আর আলোচক হিসেবে অংশ নেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. সাত্তার মন্ডল।

সারাবাংলা/ইএইচটি

দারিদ্র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর