গোমতী ও মেঘনা সেতুর দুয়ার খুলছে শনিবার
২৪ মে ২০১৯ ১৭:৩৮
ঢাকা: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গোমতী দ্বিতীয় সেতু ও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দ্বিতীয় মেঘনা সেতু শনিবার (২৫ মে) খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটোর উদ্বোধন করবেন। এরপর তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও একই সময় সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে কোনাবাড়ি ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কড্ডা-১ সেতু ও বাইমাইল সেতু উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ২০১৬ সালের শুরুতে গোমতী দ্বিতীয় ও মেঘনা দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সেতুগুলোর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সাত মাস আগেই সেতু দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও এ পথে থেকে যায় দুই লেনের গোমতী ও মেঘনা সেতু। ফলে সেতু দুটিতে ওঠার সময় এর দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। তাই ঈদের আগেই সেতু দুটি খুলে দেয়ার খবরে পরিবহণ চালক ও যাত্রীরা খুশি। সেতু দুটিতে যান চলাচলের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের যানজটের ভোগান্তি লাঘব হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এই সেতুগুলো চার লেনে উন্নীত হওয়ায় জ্যাম অনেক কমে যাবে এবং গাড়ি চলাচল অনেক সহজ হবে। কারণ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি যানবাহন চলাচল করে। মেঘনা ও গোমতীতে দ্বিতীয় সেতু চালু হলে নির্বিঘ্নে যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দ্বিতীয় মেঘনা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৯৫০ মিটার বা প্রায় এক কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ কোটি
দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১ হাজার ৪১০ মিটার বা প্রায় দেড় কিলোমিটার। এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা।
মেঘনা এবং মেঘনা- গোমতী সেতু নির্মাণ করেছে যৌথভাবে জাপানের ওবায়েশী কর্পোরেশন, সিমিজু কর্পোরেশন ও জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন।
এছাড়াও শনিবার বেলা সাড়ে এগারটায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেস উদ্বোধনও করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ঈদের আগে নির্বিঘ্নে ঢাকা টু পঞ্চগড় রেলপথে চলাচলের সুবিধাভোগী হবে উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বাসিন্দারা।
সারাবাংলা/এনআর/একে