দেশের সব দর্শনীয় স্থান হবে বিদেশি পর্যটক উপযোগী: অর্থমন্ত্রী
১৩ জুন ২০১৯ ১৬:২৯
ঢাকা: পর্যটনখাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটকে পর্যায়ক্রমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের সাবরাং-এ বিদেশে পর্যটকদের জন্য একটি এক্সক্লুসিভ পর্যটন এলাকা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও ধারাবাহিকভাবে দেশের সকল সম্ভাবনাময় পর্যটন স্পটকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের উপযোগী করে গড়ে তোলা হবে।’
বৃহস্পতিবার ৩টায় বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরুর পর বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী।
তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের এটিই প্রথম বাজেট। গত ১১ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন (বাজেট অধিবেশন) শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্র বিজয়ের মাধ্যমে প্রতিবেশী মায়ানমার ও ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রের একচ্ছত্র অধিকার লাভ করে যা আর একটি বাংলাদেশের প্রায় সমপরিমাণ। বঙ্গোপসাগের উপকূলীয় এলাকায় রয়েছে ১৩টির বেশি ভারি খরিজ পদার্থ যা অত্যন্ত মূল্যবান। আরও রয়েছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি, সামুদ্রিক সামদ্রুকি শৈবাল ইত্যাদি। সম্ভাবনাময় এ সম্পদকে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের জিডিপি’র ২শতাংশ বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘বিপুল সম্ভাবনাময় এ সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রস্তাবিত কৌশলসমূহ হলো সামুদ্রিক সম্পদের বহুমাত্রিক জরিপ দ্রুত সম্পন্ন, উপকলূীয় জাহাহের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সমুদ্র বন্দরসমূহের আধুনিকীরণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি, গভীর ও অগভীর উভয় সমুদ্রের মাছ ধরার কার্যক্রম জোরদারকরণ, সমুদ্রের ইকোট্যুরিজম এবং ব্যক্তিগত নৌবিহারে কার্যক্রম চালকুরণ এবং সমুদ্র উপকূল ও সমুদ্র বন্দরগুলোকে দূষণমুক্ত রাখা।’
সারাবাংলা/এনআর/একে