পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে বড় পতন
৭ জুলাই ২০১৯ ১৭:১৬
ঢাকা: পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বড় ধরনের পতন দিয়ে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন দেশের দুই পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন। গত ১৩ জুন বাজেট ঘোষণার পর রোববার (৭ জুলাই) পর্যন্ত লেনদেন হওয়া গত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ দিনই সূচকের পতন হয়েছে। এই সময়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা ষ্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) সূচক হারিয়েছে ১৪১ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষকতের মতে, বাজাটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির রিজার্ভ ও স্টক ডিভিডেন্ডের ওপর আরোপিত কর প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫ শতাংশের ঘোষণা দেয়া হলেও বাজেট পাসের সময় তা কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি ভালো উদ্যোগ হলেও অনেক কোম্পানি এটিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। ফলে পুঁজিবাজারে বাজেটের পর থেকেই এক ধরনের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। আর এ অস্থিরতার কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে।
এদিকে রোববার ডিএসইতে মোট ৩৫৩টি কোম্পানির ১৭ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৭০টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭ টির, কমেছে ২৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দাম। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে মাত্র ৪৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৩৩ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৯০ পয়েন্ট, ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে নেমে আসে। এদিন ডিএসইতে আর্থিক লেনদেন হয় ৪১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
অন্যদিকে রোববার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৬৫টি কোম্পানির ৮৩ লাখ ২৬ হাজার ৩০৫টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইতে ১৮ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। আগের দিন সিএসইতে কেনাবেচা হয়েছিল ৪৩ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২২৬ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৩৩৩ পয়েন্ট নেমে আসে। আগের দিন সিএসইর সূচক ছিল ১৬ হাজার ৪৫৯পয়েন্ট।
সারাবাংলা/জিএস/একে
চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ডিএসই পুঁজিবাজার লেনদেন শেয়ারবাজার সূচক