মে মাসে বাংলাদেশ ছাড়ছে অ্যাকর্ড
১৬ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০১
ঢাকা: ছয় বছর আগে পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ শুরু করা ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড আগামী মে মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়তে এক চুক্তিতে সই করেছে। কারখানার বাকি সংষ্কার কাজ আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল বা আরএসসির হাতে তুলে দিতে মঙ্গলবার রাতে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিপত্রে সই করেছেন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক ও অ্যাকর্ডের দুই প্রতিনিধি। অ্যাকর্ড ও পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাকর্ডের বাকি কাজ চালিয়ে নিতে এরইমধ্যে পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও সরকারের উদ্যোগে আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল বা আরএসসি গঠন করেছে। অ্যাকর্ডের বাকি কাজ চালিয়ে নেবে আরএসসিই। চুক্তি অনুযায়ী আগামী মে মাসের মধ্যে অ্যাকর্ডের সব ধরনের জনবল, কারখানা পরিদর্শন চিত্র ও সুপারিশ আরএসসির কাছে তুলে দেবে অ্যাকর্ড।
আরও পড়ুন- পোশাক খাতের সংস্কারে ‘আরএসসি’ গঠন
সারাবাংলাকে এ বিষয়ে রুবানা হক বলেন, ‘অ্যাকর্ড বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করবে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড, ইউনিয়ন ও শিল্প খাতের সবার সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় কমিটির কাছে তারা দায়িত্ব হস্তান্তর করবে। এই কমিটিই কারখানাগুলো মনিটর করবে। আমরা অ্যাকর্ডের কাছ থেকে সব দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছি এবং জাতীয় প্রেক্ষিতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ প্রকোটলগুলো অনুসরণ করবো।’
তিনি আরও জানান, চমৎকার একটি বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে সবগুলো কাজ শেষ হয়েছে। তাদের আন্তরিকতা আর আমাদের চাওয়ার মধ্যে তেমন বিরোধ ছিল না। মে মাসের মধ্যে তাদের সব কাজ বুঝে নেবে আরএসসি। সেখানে দেশীয় বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি বিদেশি কয়েকজন দেখভালের জন্য থাকছেন।
আরএসসি অ্যাকর্ডের মান বজায় রেখেই কাজ চালিয়ে যাবে জানিয়ে রুবানা হক বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা কিছু নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছি। গত বছর ৫১টি কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি, যারা গত ছয় বছরেও সংস্কারের শর্তগুলো পূরণ করতে পারেনি। সম্প্রতি কলকারখানা অধিদফতরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী আরও ৮৪টি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই ৮৪টি কারখানার কোনো কর্মকাণ্ড নেই, দীর্ঘদিন তারা ইউডি নিচ্ছে না, কাজও করছে না। এসব কাজের মাধ্যমে আমাদের বার্তা হচ্ছে, আমরা নিয়ম মেনে কাজ করে যাব।