অনুমোদন পেল বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৫
ঢাকা: বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪০২ তম পর্ষদ সভায় ব্যাংকটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।
এছাড়াও সভায় স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংককে পুর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকে রুপান্তর এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। তবে পিপলস ব্যাংককের অনুমোদনের বিষয়ে সভায় আলোচনা হলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে ব্যাংকটির অনুমোদন মিলেনি।
এর আগে গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি খাতে নতুন করে তিনটি ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক তিনটি হলো- বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক ও পিপলস ব্যাংক। তার এক বছর পর রোববার বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।
এদিকে, নতুন অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান হিসাবে রয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ্য সহ সভাপতি জসীম উদ্দিন। তিনি বেঙ্গল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। এছাড়াও ব্যাংকটির পরিচালক হিসেবে রয়েছেন জসীম উদ্দিন এর ভাই আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোর্শেদ আলম।
এর আগে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুলিশের কমিউনিটি ব্যাংককে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে বাংলাদেশে মোট তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০।
বিধি মোতাবেক, ১০ লাখ টাকা আবেদন ফি দিয়ে নতুন ব্যাংকের জন্য পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা। এখন এটি ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ উদ্যোক্তাদের ৫০০ কোটি টাকা জোগান দিয়ে নতুন ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে হবে। বর্তমানে দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৫৯। এর মধ্যে ৪১টি বেসরকারি খাতের, ৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত ও ৯টি বিদেশি মালিকানার ব্যাংক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নতুন করে বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংকের অনুমোদন দেয়ার ফলে দেশে মোট ব্যাংকের সংখ্যা জলো ৬০টি।
টানা তিন মেয়াদ ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকার প্রথম মেয়াদে ২০০৯ সালে নয়টি নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। পরবর্তীতে ‘সীমান্ত ব্যাংক নামের আরেকটি ব্যাংকের লাইসেন্স দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বিশেষায়িত প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে বাণিজ্যিক লেনদেনের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে ফারমার্স ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকের অবস্থা খুবই নাজুক।