২৮২ কোটি টাকায় উন্নয়ন হবে নোয়াখালীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল সড়ক
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৭:০০
ঢাকা: নোয়াখালী সদরের সঙ্গে বেগমগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার যোগাযোগ উন্নত ও নিরাপদ করতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী কামাল উদ্দীন সড়ক উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য সড়ক ও জনপথ অধিদফতর একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৮২ কোটি ১১ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গীস সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী জেলা সদরের সঙ্গে বেগমগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থসামাজিক অবস্থারও উন্নয়ন হবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। ফলে একনেকে উপস্থাপনের উপযোগী হয়েছে প্রকল্পটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম হাজী কামাল উদ্দীন সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ২৬ দশমিক ২০ কিলোমিটার। সড়কটি ২০১৯ সালের ৮ জুলাই গেজেটের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে হস্তান্তর করা হয়।
সড়কটি ফেনী-নোয়াখালী জাতীয় মহাসড়কের ৩৯তম কিলোমিটারে বেগমগঞ্জ হতে শুরু হয়ে সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ৯ কিলোমিটারে কবিরহাট উপজেলার কাছে ফলাহারীতে মিলিত হয়েছে। সড়কটির প্রস্থ কোথাও ৩ দশমিক ২ মিটার, কোথাও ৩ মিটার। তবে সড়কটির উন্নয়ন প্রকল্পে ৫ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার অংশ ৭ দশমিক ৩ মিটার ও ১২ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার অংশ ৫ দশমিক মিটার প্রশস্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সড়ক উন্নয়নে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২৪৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা খরচের প্রাক্কলন করা হয়। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এ কাজ হবে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রস্তাবে। পরে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর পিইসি সভার সিদ্ধান্তে প্রকল্পটির প্রস্তাব পুনর্গঠন করা হয়। তাতে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় দাঁড়ায় ২৮২ কোটি ১১ লাখ টাকায়।
প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— ১৮ দশমিক ২৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ; ২ দশমিক ৩৫ লাখ ঘন মিটার সড়ক বাঁধ প্রশস্ত ও উঁচু করা; নতুন পেভমেন্ট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ; সার্ফেসিং; আরসিসি রিজিড পেভমেন্ট, বাস-বে, পিসি গার্ডার ব্রিজ, আরসিসি কালভার্ট, সসার ড্রেন, আরসিসি ইউ-ড্রেন, ব্রিক মেশনারি ইউ ড্রেন, ব্রিক মেশনারি টো-ওয়াল ও রোড মার্কিং পেইন্ট করা।