সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত আকারে চলছে ব্যাংকের লেনদেন। তবে গ্রাহক সংখ্যা খুবই কম। সোমবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের শাখায় লেনদেন চলতে দেখা যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে সব ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সকালে ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, ইউসিবি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকসহ ২০টি বুথ ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেক বুথে রয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্যাভলনসহ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
দুপুরে সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংকটির প্রবেশ মুখেই রয়েছে হাত ধোয়ার জন্য সাবান ও পানির ব্যবস্থা। কর্মীরা সবাই পিপিই পরা। গ্রাহক যাওয়া মাত্রই গেটের নিরাপত্তাকর্মীরা মেপে নিচ্ছেন শরীরের তাপমাত্রা। এরপর ব্যাংকে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন গ্রাহকরা।
তাছাড়া ব্যাংকের ভিতরে কাউন্টারে বসা ব্যাংক কর্মীরাও নিয়েছেন পর্যাপ্ত নিরপত্তা ব্যবস্থা। তিন ফিট দূরে দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে গ্রাহকরা তার লেনদেন সেরে নিচ্ছেন।
একই অবস্থা দেখা যায়, জনতা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডেও।
ইসলামী ব্যাংক মতিঝিল শাখার একজন কর্নকর্তা জানান, সকাল থেকেই ব্যাংকের লেনদেন শুরু হয়েছে। তবে গ্রাহক উপস্থিতি অনেক কম। গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি উলেখ করে এ কর্মকর্তা জানান, করোনা থেকে রক্ষায় আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। একজন গ্রাহক আসা মাত্র হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হয়। এছাড়া আমাদের কর্মকর্তাদের হ্যান্ড গ্লাভসসহ অ্যাপ্রোন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকবার টাকায় হাত দিয়ে যাতে হাত পরিষ্কার রাখেন তার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী যতদিন এ অবস্থা থাকবে ততদিন আমাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও থাকবে।
ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা জিয়াউল হক জানান, এটিএম বুথে এক লাখের বেশি টাকা উত্তোলন করা যায় না। এ কারণে আজকে ব্যাংকে এসেছি। রাস্তায় গাড়ি না থাকায় আসা-যাওয়া কষ্ট হলেও প্রয়োজনে তো আসতেই হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও সীমিত আকারে ব্যাংকের কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই